একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে কলেজছাত্র ইমনের (১৮) মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলায় সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীসহ ১৫৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ আগষ্ট) দুপুরে নিহত ইমনের ভাই মো. সুমন বাদী হয়ে মির্জাপুর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
নিহত ইমন জেলার গোপালপুর উপজেলার হেমনগর ইউনিয়নের নলিন উত্তরপাড়ার মৃত জুলহাস মিয়ার ছেলে।
মামলার আসামিদের মধ্যে সাবেক কৃষিমন্ত্রী ও
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মো. আব্দুর রাজ্জাক, সাবেক বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, সাবেক সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভ, তানভীর হাসান ওরফে ছোট মনির, হাসান ইমাম খান, ছানোয়ার হোসেন, জোয়াহেরুল ইসলাম, আমানুর রহমান খান ওরফে রানা, অনুপম শাজাহান জয় আছেন।
অন্যান্য আসামিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন হলেন, টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র এস.এম সিরাজুল হক আলমগীর, টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনির, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খন্দকার আশরাফুজ্জামান স্মৃতি, সাংগঠনিক সম্পাদক জামিলুর রহমান মিরন, সাইফুজ্জামান সোহেল, মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মীর শরীফ মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক তাহরীম হোসেন, সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভর ব্যক্তিগত সহকারী মীর আসিফ অনিক, জেলা যুবলীগের সহ-সম্পাদক মঈন হোসেন রাজীব, উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক সেতাব মাহমুদ প্রমুখ।
মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সালাহ উদ্দিন জানান, ইমনের ভাই সুমন বাদী হয়ে ১৫৭ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলায় ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া কলেজ ছাত্র ইমন ৪ আগস্ট বিকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের সোহাগপাড়া এলাকায় গোড়াই হাইওয়ে থানা পুলিশের গুলিতে আহত হন । ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ১৪ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর রবিবার ১৮ আগষ্ট তার মৃত্যু হয়।
একতার কণ্ঠঃ ভারতীয় আগ্রাসানের প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মিছিলে আন্দোলনকারীরা মাথায় জাতীয় পতাকা বেঁধে বিভিন্ন শ্লোগান দেয়।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে টাঙ্গাইল শহরের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের করা হয়। মিছিলটি শহরের গুরত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়। এতে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক এবি যুবায়ের ও মোসাদ্দেক।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী কামরুল ইসলাম, আল আমিন, মনিরুল ইসলাম, আল আমিন সিয়াম প্রমুখ।
আন্দোলনকারীরা জানান, সম্প্রতি কোন রকম নোটিশ ছাড়াই ভারত সরকার কর্তৃক গম্বুর ও গজলডোবা বাঁধ খুলে দেওয়ায় বাংলাদেশে ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হয়। ইতিমধ্যেই নোয়াখালী, ফেনী, সিলেট, চট্টগ্রামসহ ১২ জেলার বিভিন্ন অঞ্চল বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। ভারতের এমন আগ্রাসন মেনে নেয়ার মতো নয়। ভারত যদি তাদের নীতি থেকে সরে না আসে ভারতীয় পণ্য বয়কটসহ তাদের সেভেন সিস্টার্সকে শান্তিতে থাকতে না দেওয়ার হুশিয়ারি দেন আন্দোলনকারীরা।