অগাস্ট ১৮, ২০২৪

কালিহাতীতে বঙ্গবন্ধু টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ অধ্যক্ষের পদত্যাগ - Ekotar Kantho

কালিহাতীতে বঙ্গবন্ধু টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ অধ্যক্ষের পদত্যাগ

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে বঙ্গবন্ধু টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অধ্যক্ষ মো. বখতিয়ার হোসেন পারিবারিক ও ব্যক্তিগত সমস্যার কারণ দেখিয়ে অধ্যক্ষের (অতিরিক্ত দায়িত্ব) পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।

রবিবার (১৮ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টায় শিক্ষার্থীরা তাঁর কার্যালয়ে গেলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে বস্ত্র অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করে একটি কপি শিক্ষার্থীদের প্রদান করেন তিনি।

পদত্যাগী বিটেক অধ্যক্ষ মো. বখতিয়ার হোসেন জানান, ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সমস্যায় পদত্যাগ করেছি। সোমবার (১৯ আগস্ট) স্বশরীরে বস্ত্র অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহদোয়ের নিকট পদত্যাগপত্রটি দাখিল করবো।

জানা যায়, তাঁর বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের নানা অভিযোগ ছিলো। অভিযোগগুলো হলো, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-ছাত্রীদের সহায়তা না করা, আন্দোলনে বিভিন্নভাবে বাধা প্রদান করা।

ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপত্তার কথা চিন্তাা না করে জোরপূর্বক হল ত্যাগে বাধ্য করা। দায়িত্ব গ্রহনের পর বাজেট থাকার পরও আবাসিক হল, ৬ দফা চত্বর, একাডেমিক ভবন, সাবস্টেশন, সোলার, জেনারেটর ইত্যাদির কোন ধরনের উন্নয়ন কাজ না করা।

প্রতি বছর ২টি মিল পরিদর্শন আবশ্যক থাকার পরও এখন পর্যন্ত কোনও ব্যাচের মিল পরিদর্শন করাতে পারেননি ও এ খাতের সকল টাকা কুক্ষিগত করে রাখা। দায়িত্ব গ্রহণের পূর্ববর্তী বছরে বুটেক্সের সকল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজসমূহের মধ্যে ফলাফলে ১ম হলেও পরবর্তী সময়ে সেশনজট, ফলাফল বিপর্যয় এবং নিয়মিত ইয়ারলস স্বাভাবিক হয়ে দাড়ালেও তা নিরসনে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহনের ব্যর্থতা।

ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক খাতে শিক্ষার্থী ও সরকার থেকে প্রাপ্ত টাকার যথাযথ ব্যবহার না করা এবং হিসাব জানতে চাইলে পরোক্ষভাবে ইয়ারলসের হুমকি দেওয়া। প্রিন্সিপালের অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে কথা বললেই গোপন সিন্ডিকেটের মাধ্যমে একাডেমিক ও মানসিকভাবে হয়রানি এবং ব্যক্তিগত প্রতিহিংসায়ও ইয়ারলসের পাশাপাশি সাধারণ শিক্ষকদের কম নম্বর প্রদানে বাধ্য করা। ক্যাম্পাস ও ছাত্রীহলের নিরাপত্তা প্রদানে ব্যর্থতা।

ইতঃপূর্বে ছাত্রী হলে চুরির ঘটনার সুষ্ঠু সমাধানে ব্যর্থতা। ল্যাবগুলোর অচলতা নিরসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে ব্যর্থতা। কোনও প্রয়োজনে শিক্ষার্থীদের সাক্ষাতের অনুমতি প্রদান না করা।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৯. অগাস্ট ২০২৪ ০৩:৫৬:এএম ২ মাস আগে
টাঙ্গাইলে গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থী ইমন ঢামেকে মারা গেছেন - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থী ইমন ঢামেকে মারা গেছেন

একতার কণ্ঠঃ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সময় টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের গোড়াই এলাকায় গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থী মো. ইমন (১৯) মারা গেছেন।

রবিবার (১৮ আগস্ট) সকাল ৮টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

ইমনের বন্ধু মো. সাইফুল বলেন, ইমন গোপালপুর উপজেলার হেমনগর ইউনিয়নে ছাত্র অধিকার পরিষদের সমন্বয়ক ছিলেন। গত ৪ আগস্ট বিকেলে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের গোড়াইতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ইমন গুলিবিদ্ধ হন।

পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার সকাল পৌনে ৮টার দিকে আইসিইউর ১০ নম্বর বেডে তার মৃত্যু হয়।

তিনি আরও জানান, ইমন টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার হেমনগর গ্রামের মো. জুলহাস মিয়ার ছেলে। চার ভাই-বোনের মধ্যে ইমন সবার বড় ছিলো।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৯. অগাস্ট ২০২৪ ০৩:০৫:এএম ২ মাস আগে
কপিরাইট © ২০২২ একতার কণ্ঠ এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।