একতার কণ্ঠঃ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি এবং গণহত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সহযোগীদের বিচারের দাবিতে টাঙ্গাইল জেলা বিএনপি দুই দিনের অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা করেছে।
টাঙ্গাইল শহরের শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে জেলা বিএনপি’র আয়োজনে বুধবার (১৪ আগস্ট) ও বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) দুই দিনের অবস্থান কর্মসূচি চলবে। এ সময় তারা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করে।
অবস্থান কর্মসূচিতে জেলা বিএনপি’র সভাপতি হাসানুজ্জামীল শাহিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবালের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, সহসভাপতি জিয়াউল হক শাহিন, সাবেক সহসভাপতি অমল ব্যানার্জী, সাবেক সদস্যসচিব মাহমুদুল হক সানু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফ পাহেলী, প্রচার সম্পাদক এ কে এম মনিরুল হক মনিরসহ অন্যান্য অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।
জেলা বিএনপি’র সাবেক সদস্যসচিব মাহমুদুল হক সানু জানান, জেলা বিএনপি’র অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা অনুযায়ী সকাল থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলবে। এদিকে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে সকাল থেকেই তৃণমূল বিএনপি’র অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে সমবেত হন ।
সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট. ফরহাদ ইকবাল বলেন, টাঙ্গাইলে এখনো বিভিন্ন মহল্লায় সন্ত্রাসীরা ঘুরে বেড়াচ্ছে। এদের গ্রেপ্তারে প্রশাসনকে জেলা বিএনপি’র পক্ষ থেকে সাত ঘণ্টা সময় দেওয়া হলো।
তিনি আরও বলেন, এই সময়ের মধ্যে টাঙ্গাইল থেকে এসব সন্ত্রাসীদের বিতাড়িত করা না হলে এর জবাব বিএনপি’র নেতাকর্মীরা দেবেন।
একতার কণ্ঠঃ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে টাঙ্গাইলে পুলিশের গুলিতে নিহত মারুফ মিয়ার পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করে সমবেদনা প্রকাশ করেছে জেলা প্রশাসন।
বুধবার (১৪ আগষ্ট)বেলা ১১টায় পৌর শহরের সাবালিয়া এলাকায় মারুফের পরিবারের লোকজনের সাথে সাক্ষাৎ করেন জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন এবং সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা।
মারুফের পরিবারের পক্ষ থেকে তার হত্যার বিচার দাবি ও শহরের কুমুদিনী কলেজ গেট থেকে ঘারিন্দা রেল স্টেশন সড়কটি মারুফের নামে করার দাবি জানানো হয়।
এসময় জেলা প্রশাসক কায়ছারুল ইসলাম সমবেদনা প্রকাশ করে মারুফের মা-বোনকে শান্তনা দেন।
এছাড়াও পরিবারের নিরাপত্তা দেয়াসহ সহযোগিতার আশ্বাস দেন তারা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক কায়ছারুল ইসলাম, পুলিশ সুপার গোলাম সবুর, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরফুদ্দীন, সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন শাওন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান বিন মুহাম্মাদ আলী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী আব্দুল নুর তুষার, আল আমিন, ইফফাত রাইসা নূহা, তাওহীদা ইসলাম স্বপ্নীল প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, ৫ আগস্ট (সোমবার) বিকেলে শিক্ষার্থীদের মিছিল নিয়ে শহরের প্রধান সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় টাঙ্গাইল সদর থানা এলাকায় পুলিশের সাথে সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশের গুলিতে মারুফ নিহত হন।
পরদিন টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় ঈদগাঁ ময়দানে নামাজে জানাজা শেষে মারুফের গ্রামের বাড়ি বাসাইল উপজেলার জশিহাটি গ্রামে দাফন করা হয়।