একতার কন্ঠঃ সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল লতিফ সিদ্দিকী জীবনে আর কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত হবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
তিনি শনিবার (১০ আগস্ট) বিকেলে তাঁর ভাই কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তমের সঙ্গে টাঙ্গাইলের সন্তোষে মাওলানা ভাসানীর কবরে শ্রদ্ধা জানান। পরে সেখানে সমবেতদের উদ্দেশে বক্তৃতাকালে এ ঘোষণা দেন।
লতিফ সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি আজ মাওলানা ভাসানীর মাজারে এসেছি উপলক্ষ হিসেবে। লক্ষ্য হলো, ’৭১–এর স্বাধীনতাযুদ্ধ এবং ’৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদে যে যুদ্ধ এখানে শুরু হয়েছিল এবং আজও এই বাংলার গণমানুষের, নিপীড়িত মানুষের, অধিকারবঞ্চিত মানুষের কণ্ঠস্বর হিসেবে যিনি পরিচিত, সেই বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, তাঁকে আমি সমর্থন করি। তাঁর সঙ্গে আমৃত্যু আমি থাকব। কিন্তু কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আমি আর জীবনে সম্পৃক্ত হব না। মাওলানা ভাসানীর এই মাজারে দাঁড়িয়ে আমি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীকে টাঙ্গাইলবাসীর সমর্থনে, বাংলার মানুষের সমর্থনে যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে এগিয়ে যাওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।’ পরে তিনি জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু বলে বক্তৃতা শেষ করে বলেন, ‘মাওলানা ভাসানী আমাদের চিত্তকে শুদ্ধ করুন।’
বর্ষীয়ান রাজনীতিক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সাবেক সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসন থেকে পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সর্বশেষ ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। ওই বছর সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে একটি সভায় বক্তৃতাকালে হজ¦ও তাবলিগ জামাত নিয়ে কটূক্তি করেন। পরে তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার, মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণ করা হয়। সংসদ থেকে তিনি পদত্যাগ করেন। সর্বশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি টাঙ্গাইল-৪ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নির্বাচিত হন।
লতিফ সিদ্দিকীর বক্তৃতার পর তাঁর ভাই কাদের সিদ্দিকী বক্তৃতাকালে কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমার বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকী বলেন, তিনি আর রাজনীতি করবেন না। আমি তোমাদের বলছি, আমার শেষ শ্বাস যেন রাজনীতি করতে করতেই বের হয়ে যায়।’
এ সময় তাঁদের ছোট ভাই কালিহাতী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আজাদ সিদ্দিকীসহ শতাধিক নেতা–কর্মী উপস্থিত ছিলেন
একতার কণ্ঠঃ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন তথা বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে টাঙ্গাইলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দগণ।
জেলা জামায়াত শনিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
জামায়াতের জেলা আমীর ও কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য আহসান হাবীব মাসুদ বলেন, এখন আমরা এক নতুন বাংলাদেশ দেখছি। বৈষম্যবিরোধী এই আন্দোলনকে কেউ ভাগ করতে পারবে না। এই আন্দোলন সকলের আন্দোলন। এই আন্দোলনকে কেউ বিতর্কিত করার দু:সাহস দেখাতে পারবে না।
আন্দোলনে অংশগ্রহনকারী তরুণদের স্যালুট জানিয়ে তিনি বলেন, আজকের তরুণরা আগামীতেও মাঠে থাকবে। ভবিষ্যতে আবার কেউ অত্যাচার নির্যাতন করতে এলে তরুণরা তা রুখে দেবে। যারা আন্দোলনকারীদের নির্যাতন করেছে, হত্যা করেছে তাদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে আহসান হাবীব মাসুদ বলেন, জামায়াত-শিবির সন্ত্রাসী সংগঠন নয়। বরং যারা এটা বলে তারাই সন্ত্রাসী। আমাদের কোন জনশক্তি কোথাও সন্ত্রাস করে থাকলে প্রমান দিন; আমরাই তার বিচার করব। জামায়াত শিবিরের কেউ কারো এক ইঞ্চি জমি দখল করেছে তা প্রমান করতে পারলে জামায়াত ছেড়ে দেব।
তিনি বলেন, জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা প্রতিটি থানার সামনে এবং বিভিন্ন এলাকায় মন্দিরের সামনে পাহারা বসিয়েছে; যাতে কেউ কোন আক্রমন করতে না পারে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে জামায়াতের জেলা সেক্রেটারি মো. হুমায়ুন কবীর, সাংগঠনিক সেক্রেটারি শহিদুল ইসলাম, টাঙ্গাইল শহর শাখার সভাপতি অধ্যাপক মিজানুর রহমান চৌধুরী ও সেক্রেটারি সাইফুল ইসলাম এবং শিবিরের টাঙ্গাইল শহর শাখার সভাপতি মামুন আব্দুল্লাহসহ দলের অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।