একতার কণ্ঠঃ ‘সত্যের সন্ধানে অবিরাম’ শ্লোগানে টাঙ্গাইল থেকে প্রকাশিত দৈনিক যুগধারা পত্রিকার ১০ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও ১১তম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও কেক কাটা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১৭ মার্চ) সকালে টাঙ্গাইল প্রেসকাবের বঙ্গবন্ধু অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা ও কেক কাটার মধ্য দিয়ে দৈনিক যুগধারা’র প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়।
দৈনিক যুগধারা প্রত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক এইচ.এম হাবিবুর রহমান সরকারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কালিহাতী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোজহারুল ইসলাম তালুকদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন মোল্লা, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কাজী জাকেরুল মওলা, টাঙ্গাইল এডভোকেট বার সমিতির সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. গোলাম মোস্তফা, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামসাদুল আক্তার শামীম, মওলানা ভাষানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুল ইসলাম মজনু, এনটিভি’র স্টাফ কররসপেনডেন্ট মহাব্বত হোসেন, এটিএন নিউজ ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের জেলা প্রতিনিধি নাসির উদ্দিন, দৈনিক সমকালের জেলা প্রতিনিধি আব্দুর রহিম, কালের কন্ঠের জেলা প্রতিনিধি কাজল আর্য্য, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী আনোয়ার হোসেন বকুল, দৈনিক টাঙ্গাইল প্রতিদিনের সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ, জেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মনির সিকদার, দৈনিক নয়া দিগন্তের জেলা প্রতিনিধি মালেক আদনান, দৈনিক আমার সংবাদের জেলা প্রতিনিধি রাইসুল ইসলাম লিটন, দৈনিক ভোরের পাতা’র জেলা প্রতিনিধি আব্দুস সাত্তার, আনন্দ টিভি’র উত্তর টাঙ্গাইল প্রতিনিধি মেহেদী হাসান চৌধুরী, দৈনিক যুগধারা’র স্টাফ রিপোর্টার ও নিউজ জি এর জেলা প্রতিনিধি অন্তু দাস হৃদয়, দৈনিক কালের কাগজের জেলা প্রতিনিধি মুক্তার হাসান, দৈনিক যুগধারা’র স্টাফ রিপোর্টার সুলতান কবির, দৈনিক টাঙ্গাইল প্রতিদিনের কালিহাতী প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলমসহ যুগধারা প্রত্রিকার বিভিন্ন উপজেলা প্রতিনিধি, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়ার ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা দৈনিক যুগধারা’র ১০ম বর্ষ পূর্তি ও ১১তম বর্ষে পদার্পণকে একটি ইতিহাস আখ্যা দিয়ে বলেন, গত ১০ বছরে যুগধারা লেখনির মাধ্যমে সাহসী সাংবাদিকতার স্বাক্ষর রাখতে সক্ষম হয়ে পাঠকদের আস্থা সৃষ্টি করেছে।
তারা আরো বলেন, আগামী দিনে যুগধারা সাংবাদিকতায় আরো গতিশীল সংবাদ পরিবেশন করে তার বৈশিষ্ট ‘সত্যের সন্ধানে অবিরাম’ শ্লোগানকে স্বার্থক করে তুলবেন এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে দৈনিক যুগধারা পত্রিকাকে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করে সুনামের সাথে আরো এগিয়ে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। আলোচনা সভা ও কেক কাটার মাধ্যমে শেষ করা হয়।
একতার কণ্ঠঃ নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন কৃষি মন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি।
তিনি শুক্রবার (১৭ মার্চ) সকালে টাঙ্গাইলের মধুপুরে বঙ্গবন্ধুর ১০৩তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশুদিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে এ মন্তব্য করেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, দেশের প্রতিটি শিক্ষার্থীকে বঙ্গবন্ধুর মতো দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ হতে হবে। দেশের কল্যাণে নিবেদিত থাকতে হবে। প্রতিটি মুহুর্ত সমাজের জন্য দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যেতে হবে।
ড. রাজ্জাক আরো বলেন, বাঙালী-অবাঙালী সকলে সম্মিলিতভাবে দেশ গঠনে আত্মনিয়োগ করতে হবে। মুসলমান-হিন্দু- বৌদ্ধ-খৃষ্টান সকল ধর্মের মানুষের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠায় সকলকে কাজ করতে হবে। বঙ্গবন্ধু সকলকে নিয়ে দেশকে উন্নত রাষ্ট্র করার পরিকল্পনা করেছিলেন। তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার গ্রাম আমার শহর বাস্তবায়নে নিবেদিত রয়েছেন। সকলের সহযোগিতায় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়ন করতে হবে।
মধুপুর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে শিশু দিবসের আলোচনা ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীমা ইয়াসমিন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মধুপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছরোয়ার আলম খান আবু, মধুপুর পৌর মেয়র সিদ্দিক হোসেন খান, মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাজহারুল আমিন, ভাইস চেয়ারম্যান যষ্ঠিনা নকরেক ও শরীফ আহমেদ নাসিরসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, প্রশাসনিক কর্মকর্তাবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিজয়ী শিশুদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।
এর আগে মন্ত্রী উপজেলা পরিষদ চত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে জন্মদিনের কেক কাটা এবং দেশ ও জাতির কল্যাণে মোনাজাতে অংশ নেন।
একতার কণ্ঠঃ কম খরচে অধিক ফলন হয় সূর্যমুখীর। তেল জাতীয় এ বীজ চাষ ভালো হওয়ায় সূর্যমুখীর হাসিতে হাসছে টাঙ্গাইলের কৃষক এবং গ্রাম-বাংলার ফসলি জমি। ভোর হলেই মিষ্টি সোনা রোদে ঝলমল করে উঠে সূর্যমুখী ফুলগুলো। দেখে মনে হয় সবুজ পাতার আড়াল থেকে মুখ উঁচু করে হাসছে সূর্যমুখী। সূর্যমুখী দেখতে কিছুটা সূর্যের মতো। সূর্যের দিকে মুখ করে থাকে বলে এ ফুলের নাম সূর্যমুখী ফুল। সূর্যমুখীর বাগানে প্রায় প্রতিদিন চলে প্রজাপতি আর মৌ-মাছির মেলা। নয়ন জুড়ানো এ দৃশ্যে খুশি কৃষক, তেমনি মোহিত করছে ফুলপ্রেমী মানুষকে।
সূর্যমুখী শুধু দেখতেই সুন্দর নয়, এর রয়েছে অনেক গুণাগুণ। বাজারেও রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। কৃষি প্রণোদনার আওতায় টাঙ্গাইলে চাষ হয়েছে তেলজাতীয় ফসল এই সূর্যমুখী। আবহাওয়া অনূকুলে থাকায় গতবারের ন্যায় এবারও সূর্যমুখীর ফলন ভালো হয়েছে এ জেলায়। এতে খুশি চাষিরাও। তা ছাড়া বর্তমানে আকাঁশ ছোয়া তেলের দাম বৃদ্ধিতে ভোজ্য তেলের চাহিদাও পূরণ করবে এ হাইব্রিড জাতের সূর্যমুখী। তাই কম খরচে ভালো ফলন হওয়ায় দিন দিন সূর্যমুখী চাষে ব্যাপক আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের।
টাঙ্গাইল জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে টাঙ্গাইলের ১২টি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ২৩০ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখীর চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে আরও ১২ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়েছে সূর্যমুখী। এনিয়ে জেলায় মোট ২৪২ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী চাষ করা হয়েছে। ১২টি উপজেলার মধ্যে- টাঙ্গাইল সদরে ৪৫, বাসাইলে ৩৫, কালিহাতী ২০, ঘাটাইলে ১৫, নাগরপুরে ১৫, মির্জাপুরে ১৫, মধুপুরে ২০, ভূঞাপুরে ২০, গোপালপুরে ১২, সখীপুরে ১২, দেলদুয়ারে ১৫ ও ধনবাড়ীতে ১৫ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী চাষ করা হয়।
গোপালপুর পৌরসভার ভূয়ারপাড়া এলাকার বয়োবৃদ্ধ নূরুল ইসলাম, তুলা মিয়া, হাসমত আলী, রাশিদা, জমিলা, রত্নাসহ অনেকেই জানান, জবরদখল হওয়া ১০ একর জমি উদ্ধার করেছে জেলা প্রশাসন। সেখানে সূর্যমুখী চাষ করা হয়েছে। আরও দখলে খাকা জমিগুলো স্থানীয় প্রভাবশালীদের জবরদখলে থাকায় উদ্ধার করতে পারেনি।
ভূঞাপুর উপজেলার গাড়াবাড়ি এলাকার চাষি মুশফিকুর রহমান বলেন, উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় ১০ শতাংশ জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছি। প্রতিদিন বিকেল বেলায় আমার জমিতে ফোটা সূর্যমুখী ফুল দেখার জন্য দূর-দূরান্ত হতে অনেক দর্শনার্থীরা দেখতে আসত। সূর্যমুখী ফুলের সঙ্গে ছবি তুলে সময় কাটান বিনোদনপ্রেমীরা। তা দেখে আমার আনন্দ লাগে। তা ছাড়া আমাকে দেখে এলাকার অনেক কৃষকরা সূর্যমুখী ফুলের চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এ বছর সূর্যমুখী চাষে ভালো সফলতা আসবে এবং অনেক লাভবান হতে পারব বলে আশা করছি।
সূর্যমুখীর মাঠে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী ও বিনোদনপ্রেমীরা ভিড় করেছেন সূর্যমুখীর মাঠে। সূর্যমুখী ফুলের সঙ্গে কেউ ছবি তুলছেন, কেউ ভিডিও করছে। স্থানীয় কৃষকরা চাষিদের সঙ্গে কথা বলে সূর্যমুখী চাষের জন্য নানা ধরনের পরামর্শ নিচ্ছেন। এ ছাড়া স্থানীয় কৃষি বিভাগ কৃষকদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করছে।
টাঙ্গাইল জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক আহ্সানুল হক বাশার বলেন, চলতি মৌসুমে জেলার ২৩০ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে আরও ১২ হেক্টর জমি বেশি হওয়ায় জেলায় মোট ২৪২ হেক্টর জমিতে সূর্যমূখীর চাষ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ১৪ হেক্টর বেশি। প্রণোদনার আওতায় বিনামূল্যে সূর্যমুখীর বীজ ও সার দেওয়া হয়েছিল। গত বছর ৪৩৫ মেট্রিকটন সূর্যমুখীর বীজের ফলন পেলেও এ বছর ২৪২ হেক্টর জমি থেকে ৪৪২ মেট্রিকটন সূর্যমুখীর বীজের ফলন পাব বলে আশা করছি।
তিনি আরও জানান, এ বছর জেলায় সূর্যমুখী বেশিরভাগই চাষ করা হাইব্রিড জাতের এবং বাংলাদেশ গবেষণাগার থেকে বারি-১৪ সূর্যমুখীর উৎপাদন বেশি হয়। আর তেলের পরিমাণও বেশি থাকে। সব দিক বিবেচনা করে তেলের চাহিদা পূরণ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী ডাক দিয়েছেন যে, আমাদের দেশীয় তেল স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে হবে। সে লক্ষে প্রধানমন্ত্রী ও কৃষিমন্ত্রীর দিক-নির্দেশনায় আমরা টাঙ্গাইলে কাজ করে যাচ্ছি এবং সরিষার পাশাপাশি স্বাস্থ্যসম্মত তেল জাতীয় সূর্যমুখীর চাষ বৃদ্ধির প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
একতার কণ্ঠঃ বঙ্গবন্ধু সেতু টাঙ্গাইল-ঢাকা মহাসড়কে অজ্ঞাত বাস চাপায় ইরফান মিয়া (৫০) নামে এক ট্রাক চালক নিহত হয়েছে।
শুক্রবার(১৭ মার্চ) বিকেলে মহাসড়কের কালিহাতী উপজেলার পৌলি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ইরফান মিয়া পৌলি এলাকার মৃত বাবর আলীর ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, নিহত ইরফান মহাসড়কের পূর্ব পাশ থেকে হেঁটে পশ্চিম পাশে ছোট ভাইকে টাকা দিতে যাচ্ছিল ছিলো। এ সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা উত্তরবঙ্গগামী অজ্ঞাত একটি বাস ইফরানকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই ইরফানের মৃত্যু হয়।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সার্জেন্ট শিবু নাথ সরকার জানান, সংবাদ পেয়ে আমরা লাশ উদ্ধার করেছি। আইনী পক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। নিহত ইরফান পেশায় ট্রাক চালক ছিল।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। তবে ঘাটাইলের সাগরদীঘি ইউনিয়ন ও নাগরপুরের ভাড়রা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা পরাজিত হয়েছেন।
জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) এলেঙ্গা পৌরসভা ও ওই দুই ইউনিয়নে ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ করা হয়।
এলেঙ্গা পৌরসভায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান মেয়র নুর এ আলম সিদ্দিকী নৌকা প্রতীকে ১৩ হাজার ৬১৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছে। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী শাফী খান জগ প্রতীকে পেয়েছে ৮ হাজার ৮০৫ ভোট। অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজিনা আখতার নারিকেল গাছ প্রতীকে পেয়েছেন ৪ হাজার ৬৪৯ ভোট।
শাফী খান উপজেলা বিএনপির সদস্য। দল নির্বাচনে অংশ না নিলেও তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেন। অপরদিকে রেজিনা আখতারও আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র (বিদ্রোহী) প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন।
ঘাটাইলের সাগরদিঘি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. হাবিবুল্লাহ বাহার মোটরসাইকেল প্রতীকে চার হাজার ৪১৩ ভোট পেয়ে নির্বাচন হয়েছে। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শহিদুল ইসলাম চশমা প্রতীকে চশমা প্রতীকে ৩ হাজার ৪৮০ ভোট পেয়েছেন। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হেকমত সিকদার ৩ হাজার ৪৪৪ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন। অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী সাহাদৎ হোসেন সিকদার আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ৩৯২ ভোট।
নাগরপুরের ভাড়রা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আবুবকর ছিদ্দিক আনারস প্রতীক নিয়ে ৫ হাজার ৯৬৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রিয়াজ উদ্দিন তালুকদার নৌকা প্রতীকে ৩ হাজার ৯৯৬ ভোট পেয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ নভেম্বর ২০২২ ভারড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আ. কুদ্দুস মিয়া মৃত্যুবরণ করায় এ ইউনিয়নে উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশন।
একতার কণ্ঠঃ ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শবনম বুবলী। ক্যারিয়ারের শুরুতেই সিনেমায় সঙ্গী হিসেবে পেয়েছেন ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানকে। এর পর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি বুবলীকে। তার পর দর্শকদের কয়েকটি সুপারহিট সিনেমা উপহার দেন তিনি।
পর্দায় শাকিব-বুবলীর রসায়নে দর্শকরা মুগ্ধ হয়ে পড়েন। তবে পর্দার রসায়ন থেকে একসময় বাস্তবজীবনেও জুটি বাঁধেন তারা। ২০১৮ সালের ২০ জুলাই চিত্রনায়কের সঙ্গে বিয়ে হয়। এর পর ২০২০ সালের ২১ মার্চ ছেলে শেহজাদ খান বীরের জন্ম হয় বলে জানান বুবলী।
এদিকে গত বছর অক্টোবরে শাকিবের সঙ্গে বিয়ের বিষয়টি প্রকাশ্যে আনার পর থেকে তাদের সম্পর্ক নিয়ে শুরু হয় ধোঁয়াশা। তারা এখনো স্বামী-স্ত্রী সম্পর্কে রয়েছেন, না বিচ্ছেদ হয়েছে সেটি এখনো স্পষ্ট নয়। এ নিয়ে শাকিব-বুবলীর কেউ অবশ্য স্পষ্ট কিছু বলেননি।
তবে বাবা হিসেবে চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসের ছেলে আব্রাম খান জয় এবং শবনম বুবলীর ছেলে বীরের সঙ্গে প্রায়ই সময় কাটিয়ে থাকেন শাকিব। কখনো বড় ছেলে, আবার কখনো ছোট ছেলের সঙ্গে সময় কাটানোর সেসব ছবি মাঝে মাঝে সামাজিকমাধ্যমে শেয়ারও করে থাকেন শাকিব-অপু-বুবলী।
এবার বুবলী তার ছেলের সঙ্গে শাকিবের একটি ছবি পোস্ট করেছেন ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে। বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ৪৫ মিনিটে অভিনেত্রীর পোস্ট করা ছবিতে দেখা যায়, শাকিবের কোলে বসে আছেন ছেলে বীর। অভিনেতা মোবাইল ফোনের স্ক্রিনে তাকিয়ে আছেন, আর ছোট্ট বীরের দৃষ্টি সামনে থাকা ল্যাপটপে।
বুবলী ছবিটি পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখেন, ‘একজন রাজা সবসময়ই একজন রাজা। একজন সুপারস্টার সবসময়ই একজন সুপারস্টার।’
এর পরই এ নায়িকা লেখেন, ‘বাবা ও ছেলের পোশাক যখন মিলে যায়।’ আর প্রতিটি বাক্যের শেষে হার্টের ইমোটিকন জুড়ে দিয়েছেন নায়িকা।