একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার পাথরাইল ইউনিয়নে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে এক প্রেমিকা অবস্থান নিয়েছেন। এ সময় প্রেমিকসহ পরিবারের সবাই ঘরে তালা দিয়ে পালিয়ে গেছেন।
মঙ্গলবার (৭ মার্চ) পাথরাইল ইউনিয়নের বিষ্ণপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত ব্যক্তি হলেন, উপজেলার পাথরাইল ইউনিয়নের বিষ্ণপুর গ্রামের ফজলু মিয়ার ছেলে ইলিয়াস।
ভুক্তভোগী তরুণী জানান, অনেক দিন ধরে ইলিয়াসের সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ইলিয়াস আমার সঙ্গে অনেকবার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক করেছে। প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে আমাদের বাড়িতে ইলিয়াসের যাতায়াত ছিল। সম্প্রতি আমাকে এড়িয়ে চলায় মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বিয়ের দাবিতে ইলিয়াসের বাড়িতে উঠেছি।
ভুক্তভোগীর মা ডলি বেগম জানান, আমার মেয়ের সঙ্গে ইলিয়াসের প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি জানি। পার্শ্ববর্তী সবাই তাদের চলাফেরা করতে দেখেছে। আমার বাড়িতেও ইলিয়াসের আসা-যাওয়া ছিল। প্রথম পর্যায়ে মেয়েকে বাধা দিয়েছি। এতে কয়েকবার গলায় ফাঁস দেওয়ার চেষ্টা করেছে।
তিনি আরও জানান, ইলিয়াস বিয়ের আশ্বাস দিয়ে প্রতারণা করায় মেয়ে বাড়িতে না জানিয়ে ইলিয়াসের বাড়িতে উঠেছে। আমরা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করলেও মেয়ে বাড়ি আসছে না।
অভিযুক্ত ব্যক্তির বাড়িতে তালা থাকায় কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
দেলদুয়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন মৃধা জানান, মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনার সংবাদ পেয়ে অভিযুক্ত ইলিয়াসের বাড়ি গিয়ে মেয়ের অবস্থান কর্মসূচি পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। কিন্তু শিশু ও নারী বিষয়ক ঘটনা মীমাংসা করার অধিকার আমাদের নেই। মেয়ের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ করলে, তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চ ঐতিহাসিক ভাষণ দিবস পালন করা হয়েছে।
এ উপলক্ষে মঙ্গলবার (৭ মার্চ) সকালে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, টাঙ্গাইল স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক শামীম আরা রিনি, টাঙ্গাইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আহসানুল বাসার, টাঙ্গাইল সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান আনছারী, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আশরাফউজ্জামান স্মৃতি, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের সাবেক কমান্ডার ফজলুল হক বীর প্রতীক, সাবেক ডেপুটি জেলা কমান্ডার আবুল কালাম আজাদ বীর বিক্রম ও টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ প্রমুখ। পরে এক মনোঙ্গ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এর আগে সকালে জেলা প্রশাসনের জনসেবা চত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এ সময় জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে সকালে জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এ সময় আওয়ামী লীগের অন্যান্য নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে গাছের ডাব খাওয়াকে কেন্দ্র করে মারধর ও মাকে অপমান করায় তা সহ্য করতে না পেরে ক্ষোভে-দুঃখে ও অপমানে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে বাথরুমে ফাঁসি দিয়ে আবির (১৪) নামে এক স্কুলছাত্র আত্মহত্যা করেছে।
আবির ভূঞাপুর উপজেলার অজুর্না ইউনিয়নের কুঠিবয়ড়া গ্রামের বাদশা মন্ডলের ছেলে। সে স্থানীয় ঘাটান্দি আলহাজ্ব হায়দার আলী মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্র।
মঙ্গলবার(৭ মার্চ) দুপুর ৩ টার দিকে ভূঞাপুর পৌর এলাকার ঘাটান্দি সোনিয়া হাসপাতালের পাশে একটি ভাড়া বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ভূঞাপুর থানা পুলিশ। সে ঘাটান্দি এলাকায় পরিবারের সাথে ভাড়া বাসায় থাকতো।
স্বজন ও প্রতিবেশীরা জানান, সোমবার রাতে মাকে নিয়ে ঘাটাইল উপজেলার যদুরপাড়া গ্রামের তার নানা সুজ্জত আলীর বাড়িতে যায়। পরে ৮-১০ জন বন্ধু মিলে ডাকনাপটল গ্রামে ওয়াজ মাহফিল শুনতে গিয়ে সিংগুরিয়া গ্রামের ডাঃ ওয়াজেদ’র বাড়ির গাছের ডাব খাওয়ার জন্য যায় এবং আবির গাছে ওঠে।
একপর্যায়ে আশপাশের লোকজন বিষয়টি টের পেলে তাদের ধাওয়া করে ও বন্ধুরা পালিয়ে যায়। সেসময় আবির গাছে থাকা অবস্থায় পালাতে না পারায় স্থানীয়রা তাকে ধরে মারধর ও লাঞ্ছিত করে। এরপর আবিরের মাকে ডেকে নিয়ে তাকে চুরির অপবাদ দিয়ে মাকেও অপমান করে। পরে আবিরকে বাসায় নিয়ে আসে তার মা।
এ ঘটনার পর মঙ্গলবার সকালে আবিরের মা ও তার বড় ভাই নিজ কর্মস্থলে চলে যায়। দুপুরের দিকে তার মা বাড়িতে এসে আবিরকে ডাকতে থাকে এবং বাথরুমের দরজা ধাক্কা দিয়ে দেখতে পায় ভেতর থেকে আটকানো। পরে তার বড় ছেলেকে ফোন করলে সে বন্ধুদের নিয়ে এসে বাথরুমের দরজা ভেঙে আবিরের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম জানান, দুপুরে স্থানীয়দের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে আবির নামে ওই স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনগত বিষয় প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয়ের উপ-সচিব আবু নাসার উদ্দিনকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার দেবডাঙ্গা গ্রোয়েন বাঁধ এলাকায় ডিসি পল্লী উন্নয়ন সংঘের উদ্যোগে শনিবার (৪ মার্চ) তাকে এ সম্মাননা দেওয়া হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নান।
সারিয়াকান্দি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও বগুড়া জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য আনছার আলী মাস্টারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সারিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম মিন্টু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার মহন্ত, পৌরসভার মেয়র মতিউর রহমান মতি, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেক দুলু, অফিসার ইনচার্জ রাজেশ কুমার চক্রবর্তী প্রমূখ। অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্ববধানে ছিলেন ডিসি পল্লী উন্নয়ন সংঘের সভাপতি জাঙ্গাহীর আলম নয়ন এবং দেবডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইউনুস আলী সাকিদার। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষিকা, স্থানীয় আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ এলাকার সকল স্তরের মানুষ অংশ নেন।
সংবর্ধিত অতিথি আবু নাসার উদ্দিন একজন বীরমুক্তিযোদ্ধার সন্তান। তিনি টাঙ্গাইলের কালিহাতী ও রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের ইউএনও এবং গাজীপুরের এডিসি জেনারেলের দায়িত্বপালন করেন। কর্মক্ষেত্রে তার জনবান্ধব এবং ব্যতিক্রমী উদ্যোগের জন্য একদিকে সাধারণ মানুষের ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করেছেন। অন্যদিকে পেয়েছেন জেলার শ্রেষ্ঠ কর্মকর্তার পদক।
আবু নাসার উদ্দিন বলেন, নিজ এলাকায় সংবর্ধনা পাওয়ার অনুভুতি সত্যি অন্যরকম। আমি অতিথি নই, আমি আপনাদেরই সন্তান, আপনাদেরই মাঝে থাকতে চাই। আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন। আমি যেনো ন্যায় ও নিষ্ঠার সাথে দেশ-জাতির কল্যাণে সরকারি দায়িত্বপালন করতে পারি।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের সখীপুরে মালবাহী ট্রাক ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে মোঃ জাহাঙ্গীর আলম (২৬) নামের এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।
সোমবার (৬ মার্চ) রাতে সখীপুর- সাগরদীঘি আঞ্চলিক সড়কের বড়চওনা বাজারের উত্তর পাশের ব্রিজ সংলগ্ন রনির চা-স্টলের সামনে এ দূর্ঘটনা ঘটে।
নিহত জাহাঙ্গীর নবগঠিত বড়চওনা ইউনিয়নের শিরিরচালা গ্রামের মোঃ সূর্যাত আলীর ছেলে।
সে স্থানীয় বড়চওনা বাজারে একজন ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীর ব্যবসায়ী ছিলেন।
জানা যায়, সোমবার রাত ৯ টার দিকে সখীপুর- সাগরদীঘি আঞ্চলিক সড়কের বড়চওনা বাজারের উত্তর পাশে ব্রিজ সংলগ্ন রনির চা-স্টলের সামনে মোটরসাইকেল ও মালবাহী ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় মোটরসাইকেল আরোহী জাহাঙ্গীর আলমকে প্রথমে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করে। হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
নবগঠিত বড়চওনা ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক আনোয়ার হোসেন এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার অরণখোলা ইউনিয়নের ভুটিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের চুরির ঘটনায় ১২ ল্যাপটপ উদ্ধারসহ ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি উত্তর)। সোমবার(৬ মার্চ) বিকেলে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়। আদালতের বিচারক ৩ জনের দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এছাড়াও চারজন আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছে। চুরির ঘটনায় গত ২৬ ডিসেম্বর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এপ্রিল পল মৃ বাদি হয়ে মধুপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে, মধুপুর উপজেলার ভুটিয়া গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে মো. রেজাউল করিম (২১),শোলাকুড়ি কুড়ালিয়া গ্রামের মনোয়ার হোসেনের ছেলে শরীফ ওরফে শুভ (২০),ধনবাড়ী উপজেলার উখারিয়াবাড়ী গ্রামের আব্দুল হাইয়ের ছেলে মুক্তার হোসেন (২৪),মমিনপুর কাউচিবাজার গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে মো. ইমরান (১৯) একই গ্রামের লোকমান হোসেনের ছেলে মো.খায়রুল ইসলাম (১৯) মো. হাবিবুর রহমানের ছেলে আবু সাইদ (২২), ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর উপজেলার বোকাইনগর নয়াপাড়া গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে ওমর সানি (২৫)।
মঙ্গলবার (৭ মার্চ) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) উত্তরের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর মোশারফ হোসেন জানান, গত ২২ থেকে ২৬ ডিসেম্বরের যে কোন সময় ভুটিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের চার তলায় শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব থেকে ১৬ টি ল্যাপটপ চুরি হয়। ল্যাপটপ সহ যার আনুসাঙ্গিক মালামালের আনুমানিক মূল্য ৮ লাখ টাকা। মামলায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করা হয়। চুরির ঘটনাটি চাঞ্চল্যকর হওয়ায় টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সারের নির্দেশনায় দ্রুত মামলার রহস্য উদঘাটন ও আসামীদের গ্রেফতার করার জন্য ডিবি পুলিশের একটি চৌকস টিম এস আই মনির হোসেনের নেতৃত্বে নিরন্তর চেষ্টা চালায়।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনার রহস্য উদঘাটন করে চুরির ঘটনার সাথে জড়িত মো. রেজাউল করিমকে রবিবার ভোর রাতে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত রেজাউলের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর থানা এলাকার ওমর সানি ও আবু সাইদকে গ্রেফতার করা হয়। আসামীদের দেওয়া তথ্যর ভিত্তিতে মুক্তার হোসেন, মো. ইমরান, মো. খায়রুল ইসলাম ও মো. শরীফ ওরফে শুভকে জেলার মধপুর ও ধনবাড়ি উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে সোমবার সকালে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরও জানান, রেজাউল করিমের হেফাজতে থাকা ৬টি ,ওমর সানির কাছ থেকে ২ টি ও আবু সাইদ, ইমরান, খায়রুল মুক্তারের নিকট থেকে ১টি করে চুরি যাওয়া ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়।
তিনি জানান, আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়। বিজ্ঞ আদালতের বিচারক রেজাউল, ওমর সানি ও আবু সাইদকে ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। এছাড়াও বাকি চার জন চোরাইকৃত ল্যাপটপ ক্রেতা ১৬৪ ধারায় নিজেদের দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। চুরি যাওয়া অন্যান্য মালামাল উদ্ধারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান।