একতার কণ্ঠঃ শীতকালে সাধারণত তাপমাত্রা অনেকটাই কম থাকে এবং আবহাওয়া থাকে শুষ্ক। আর এ সময়টায় দেখা দেওয়া সমস্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে— ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া।
এ সময়টায় অনেকের উজ্জ্বল ত্বকও গ্রীষ্মের রোদের মতো শুকনো ও খিটখিটে ত্বকে রূপান্তরিত হয়। আর এমন ক্ষেত্রে ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি তাতে চুলকানি এবং লালভাবও দেখা দিতে পারে।
ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে অনেকেই অনেক ধরনের ক্রিম ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু শুধু এটুকুতেই যথেষ্ট নয়। ত্বককে ভালো রাখতে জানুন কেন ত্বক শুষ্ক হয় আর সেই অনুযায়ী কিছু অভ্যাসের পরিবর্তনেই আপনার ত্বক আরও ভালো থাকতে পারে। শীতকালে যে ৫ কারণে ত্বক হয়ে যেতে পারে শুষ্ক তা নিয়েই রইল আজকের টিপস—
১. অতিরিক্ত ত্বক ধোয়ার কারণে
আপনার মুখ অতিরিক্ত পরিমাণে ধোয়ার কারণে ত্বকের প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজিং ফ্যাক্টর হারিয়ে যায়। আর এটি পরবর্তী ছয় ঘণ্টা ত্বকে আর ফিরে আসে না। ত্বক ধোয়ার পরে ময়েশ্চারাইজ না করা হয়, তা হলে আপনার ত্বক তার সব প্রাকৃতিক তেল হারিয়ে ফেলতে পারে, যা এটিকে টানটান ও শুষ্ক করে তোলে।
তাই আপনার যখন প্রয়োজন শুধু তখনই ত্বক পরিষ্কার করুন। আর ত্বক পরিষ্কারের পরে অবশ্যই ত্বক ময়েশ্চারাইজ করে নিতে হবে।
২. গরম পনি দিয়ে গোসল করলে
শীতকালে গরম পানি দিয়ে গোসল করা আরামদায়ক হলেও এটির একটি খারাপ দিক রয়েছে। আর তা হচ্ছে অত্যধিক গরম পানি আপনার ত্বকের ক্ষতি করতে পারে এবং শীতকালে ত্বক শুষ্ক রাখতে পারে। এ ছাড়া এটি আপনার ত্বককে লাল, ফ্ল্যাকি এবং সংবেদনশীল করে তুলতে পারে। তাই অতিরিক্ত পরিমাণে গরম পানি দিয়ে গোসল করা থেকে বিরত থাকতে পারেন।
৩. ত্বকে রাসায়নিকের ব্যবহার
ত্বকের মৃত কোষ ও ময়লা দূর করতে এক্সফোলিয়েশন গুরুত্বপূর্ণ হলেও বেশি পরিমাণে স্ক্রাব বা রাসায়নিক ব্যবহারের কারণে ত্বক শুষ্ক হতে পারে। তাই ত্বকে যতটা সম্ভব কম রাসায়নিক ব্যবহার করতে হবে আর স্ক্রাব বা পরিষ্কার করার পরেই ময়শ্চারাইজ করতে ভুলবেন না।
৪. পর্যাপ্ত পানির অভাবে
শীতকালে আপনি কী পরিমাণে পানি পান করছেন তার ওপর নজর রাখতে হবে। কারণ সঠিক হাইড্রেশন না হলেও ত্বকের শুষ্কতা বেশি দেখা দিতে পারে ও ত্বক ক্র্যাক করতে থাকে। তাই ত্বকের সুরক্ষার জন্য হলেও পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে।
৫. ত্বকে সঠিক ময়শ্চারাইজিং
শীতকালে ত্বকের প্রাকৃতিক তেল অনেক সময় কমে যেতে পারে। তাই এ সময় ত্বকে সঠিক ময়শ্চারাইজিং অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক ময়শ্চারাইজিং করলে তা ত্বকের প্রাকৃতিক তেলকে লক করতে সাহায্য করতে পারে ও ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে পারে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে সেনাবাহিনীর শীতকালীন অনুশীলনের চূড়ান্ত মহড়া পরিদর্শন করেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। পরে শীতার্ত মানুষদের মাঝে শীতবস্ত্র, ত্রাণ ও ওষুধ বিতরণ করেন তিনি।
চূড়ান্ত মহড়ার মধ্য দিয়ে শেষ হলো বাংলাদেশ সেনবাহিনীর তিন সপ্তাহব্যাপী পরিচালিত শীতকালীন প্রশিক্ষণ ২০২২-২০২৩ অনুশীলন।
বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) সকালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৯ পদাতিক ডিভিশন সফলভাবে এই অনুশীলন পরিচালনা করে। এই অনুশীলনে সাঁজোয়া বহর, এপিসি এর পাশাপাশি সেনাবাহিনীর ছত্রীসেনা অংশগ্রহণ করে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসান, কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ সাইফুল আলম, জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) আর্মি ট্রেনিং এন্ড ডকট্রিন কমান্ড লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহম্মদ তাবরেজ শামস চৌধুরীসহ সেনাসদরের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারবৃন্দ, অন্যান্য জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ এবং গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে শীতকালীন প্রশিক্ষণের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর ফরমেশনসমূহ স্ব-স্ব দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় অসহায় ও দুস্থ শীতার্ত মানুষদের মাঝে শীতবস্ত্র ও ত্রাণ বিতরণ, বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান ও ঔষধ বিতরণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন সেনবাহিনী প্রধান।
এ সময় সেনবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, বাস্তবসম্মত ও যুগোপযুগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে একটি বিশ্বমানের বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। সেনাবাহিনীকে দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে কঠিন প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই।
এসময় তিনি দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ ও বীরমুক্তিযোদ্ধাদের অবদান স্মরণ করেন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে তেলবাহী ট্রাক ও ভ্যানের সংঘর্ষে মা ও মেয়ে নিহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে উপজেলার ভূঞাপুর-বঙ্গবন্ধু সেতু সড়কের বাগবাড়ি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন উপজেলার বিলচাপড়া গ্রামের কাপড় ব্যবসায়ী শহিদুলের স্ত্রী পারুল বেগম (৩৫) ও তাদের সাড়ে তিন বছরের মেয়ে ছোঁয়া মনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, নিহত পারুল বেগম তার কন্যাশিশুকে নিয়ে ভ্যানগাড়ি যোগে বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে গ্রামের বাড়ি বিলচাপড়া যাচ্ছিলেন। এসময় তাদের বহনকারী ভ্যানগাড়িটি ভূঞাপুর-বঙ্গবন্ধু সেতু সড়কের বাগবাড়ি এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি তেলবাহী ট্রাকের সাথে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয় ।
ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)ফরিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় ট্রাক চালককে আটকের চেষ্টা চলছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার সাগরদিঘি ইউনিয়ন পরিষদের আলোচিত চেয়ারম্যান ও যুবদল নেতা মালেক হত্যা মামলার আসামি হেকমত সিকদারের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে এলাকাবাসীর উদ্যোগে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মালেকের স্ত্রী মর্জিনা বেগম, বোন রোমেছা খাতুন, মামা বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বাছেদ, এলাকাবাসী রফিকুল ইসলাম, মো. শামসুদ্দিন প্রমুখ।
এই মানববন্ধনে প্রচন্ড শীত উপেক্ষা করে প্রায় তিন শতাধিক এলাকাবাসী অংশ গ্রহণ করে।
জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৮ মার্চ ঘাটাইলের সাগরদিঘি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাত ৩টায় গুলিতে আব্দুল মালেক (৪৫) নামে এক স্থানীয় যুবদল নেতা নিহত হন। পরদিন ২৯ মার্চ গুপ্তবৃন্দাবন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন।
স্থানীয়রা জানায়, সাগরদিঘী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী হেকমত সিকদারের লোকজন ব্যালট পেপারে সিল মারছে এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে স্বতন্ত্র প্রার্থী হাবিবুল্লাহ বাহারের সমর্থকসহ এলাকাবাসী সেখানে হামলা চালায়। এ সময় স্কুলঘরের ভেতর থেকে হামলাকারীদের প্রতি কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশও গুলি চালায়। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে আব্দুল মালেক নিহত হন।
তিনি গুপ্তবৃন্দাবন গ্রামের বাসিন্দা নেছার উদ্দিনের ছেলে। পরে ২ এপ্রিল আব্দুল মালেকের স্ত্রী মর্জিনা বেগম বাদি হয়ে ঘাটাইল থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি একাধিক তদন্তকারী সংস্থা তদন্তের পর সিআইডিকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
টাঙ্গাইল সিআইডির পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. আতাউর রহমান আকন্দ জানান, তারা সরেজমিনে ঘটনার পূর্বাপর তদন্ত শেষে রোববার (১ জানুয়ারি) দুপুরে টাঙ্গাইল শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে হেকমত সিকদারকে গ্রেপ্তারের পর ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে সোপর্দ করা হয়। সোমবার তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ছানোয়ার হোসেন (৩৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে।বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) সকালে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়কের উপজেলার পাকুটিয়া বাসস্ট্যান্ডে পেছন থেকে ট্রাকের ধাক্কায় তিনি নিহত হন।
নিহত ছানোয়ারের বাড়ি জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার জানোকিপুর গ্রামে।সে ওই গ্রামের
শহিদুর হোসেনের ছেলে।
তিনি ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ট্রাফিক হেলপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, টাঙ্গাইল-ময়মেনসিংহ মহাসড়কের উপজেলার পাকুটিয়া বাসস্ট্যান্ডে একটি ট্রাক দাঁড়ানো ছিল। সে ট্রাকটি মোটরসাইকেল আরোহী ছানোয়ার ওভারটেকিং করতে যান। এরই মধ্যে দ্রুতগতির অপর একটি ট্রাক মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এতে সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়। এতে চালক গুরুতর আহন হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘাটাইল থানার উপপরিদর্শক বিল্লাল হোসেন জানান, ঢাকা বিমানবন্দরে ট্রাফিক হেলপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন ছানোয়ার হোসেন (৩৫)। সেখান থেকে মোটরসাইকেল যোগে সকালে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন তিনি। পথিমধ্যে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে প্রাণ হারান।
তিনি আরো জানান,নিহতের পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তার করা হবে।