একতার কণ্ঠঃ সব বাধা পেরিয়ে অবশেষে ঢাকায় এলেন বলিউড অভিনেত্রী নোরা ফাতেহি। উইমেন লিডারশিপ করপোরেশনের আমন্ত্রণে ঢাকায় এসেছেন তিনি।
শুক্রবার(১৮ নভেম্বর) দুপুর ১টা ২০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন এ অভিনেত্রী। সন্ধ্যায় অংশ নেবেন উইমেন লিডারশিপ করপোরেশন আয়োজিত গ্লোবাল অ্যাচিভার্স অ্যাওয়ার্ড ২০২২-এ।
ডকুমেন্টারির শুটেও অংশ নেবেন নোরা ফাতেহি। ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) অনুষ্ঠানটি শুরু হবে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়। তবে দর্শকের জন্য গেট ওপেন হবে বিকাল ৪টায়।
অনুষ্ঠানে অংশ নিতে চাইলে অন স্পট রেজিস্ট্রেশন করেও দর্শক অনুষ্ঠানটি উপভোগ করতে পারবেন। এতে অংশ নেবেন বাংলাদেশের সেলিব্রিটিরাও।
ঢাকায় অবস্থানকালে তিনি রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে থাকবেন। নির্ধারিত প্রোগ্রাম শেষ করে শনিবার বিকেলে বাংলাদেশ ছাড়বেন বলিউডের আইটেম গার্ল নোরা ফাতেহি।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে একটি বিস্ফোরিত ককটেলসহ ছোট-বড় মোট ১২টি ককটেল সহ ৫ জনকে আটক করেছে টহল পুলিশ।
শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার এলেঙ্গা লুৎফর রহমান মতিন মহিলা ডিগ্রিকলেজের পাশে ফাঁকা জায়গা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, উপজেলার কদিমহামজানি গ্রামের মৃত খন্দকার লাল মিয়ার ছেলে খন্দকার ইকবাল হোসেন (৩৬), বল্লভবাড়ী গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে শহিদ সিকদার (২৭), একই গ্রামের মহির উদ্দিন তালুকদারের ছেলে হাফিজুর রহমান তালুকদার (৪৪), রতনগঞ্জ জোড়বাড়ী গ্রামের মৃত খেদমত আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম লাভলু মিয়া (৫৮) ও চাঁনপাড়া গ্রামের আ. হক আকন্দের ছেলে এসএম আহসান হাবিব লাভলু (৫০)।
এ বিষয়ে কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান জানান, রাত্রিকালীন থানার মোবাইল টিম ডিউটি করাকালে বাগুটিয়া বাজারে অবস্থানকালে এলেঙ্গা লুৎফর রহমান মতিন মহিলা ডিগ্রি কলেজের পাশে ফাঁকা জায়গায় বসে নাশকতার উদ্দেশ্যে কতিপয় লোকজন মিটিং করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টহল পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হইলে পুলিশকে লক্ষ্য করে একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয় ।
তিনি জানান,এ সময় ঘটনাস্থল থেকে বিস্ফোরিত একটি সহ ছোট বড় মোট ১২টি ককটেলসহ পাঁচজনকে আটক করা হয় এবং অন্যান্যরা দৌড়ে পালিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, এঘটনায় ১৯০৮ সালের বিস্ফোরণ দ্রব্য আইনের ৩/৪/৬ ধারা মোতাবেক তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে শুক্রবার দুপুরে টাঙ্গাইল আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ বিএনপির কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, বিএনপির প্রতিটি সমাবেশ প্রতিহত করার চেষ্টা করেছে সরকার। আগামী ১০ ডিসেম্বর প্রতিহত করার নামে তারা যদি রাস্তায় নামে যে ভাষায় তারা কথা বলবে আমাদের জবাবটাও হবে সেই ভাষায়।
তিনি বলেন, সরকার যার নিয়ত ঠিক নাই, চোরের মন পুলিশ পুলিশ, সে আগে থেকেই খারাপ কিছু ভাবনা মাথায় নিয়ে দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। পুলিশ বাহিনী, প্রশাসনকেও বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) সকালে টাঙ্গাইলের সন্তোষে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকীতে দলের পক্ষ থেকে তার মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, এর আগে ছয়টি গণসমাবেশ করেছি। বিএনপি কি ধরনের সমাবেশ করবে শান্তিপূর্ণ কি অশান্তিপূর্ণ সেটা ইতোমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে। এই প্রতিটি সমাবেশে একটি থেকে আরেকটিতে বাধা বিপত্তি চেকপোস্টের পুলিশের হয়রানি গ্রেফতার লাঠিপেটা করা হয়েছে। সর্বশেষ বরিশালে হোটেলেও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আগামী যেসব সমাবেশ হবে তারই সর্বশেষটা হচ্ছে ঢাকায় ১০ ডিসেম্বরের মহাসমাবেশ। এই সমাবেশ অন্যান্য সমাবেশের মতো একটি বিস্ময়কর সমাবেশ হিসেবে হিসেবে আমরা চিহ্নিত করবো এ প্রচেষ্টা আছে।
তিনি বলেন, গত ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশে নির্বাচন বলতে যেটা বোঝায় সেটা নেই। ২০০৮ সালের নির্বাচন ছিলো সাজানো গোছানো নির্বাচন। ১৪ সালের নির্বাচন কোন নির্বাচন নয়। অপ্রতিদ্বন্দ্বিতার নামে ১৫৩টি আসনে জোর করে তারা ক্ষমতা দখল করে নেয়। ১৮ সালে মধ্যরাতে তারা ক্ষমতা দখল করে।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, জাপানি রাষ্ট্রদূতসহ সারাবিশ্ব এখন বর্তমান সরকার প্রধান, আওয়ামী লীগ তাদের যে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, দেশ বিরোধী কর্মকাণ্ড, ভোটের বিরুদ্ধে অবস্থান সেটা স্পষ্টভাবে তারা বুঝতে পারছে। দেশ এবং বিদেশে একটিই দাবি, বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, পাল্টামেন্ট ভেঙে দেওয়া এবং একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশনের অধিনে অবাধ সুষ্ঠ ও স্বচ্ছ একটি নির্বাচন অনুষ্ঠান। সেটি যদি করা সম্ভব হয় তাহলে বাংলাদেশকে রক্ষা করা সম্ভব হবে। দুর্নীতিমুক্ত একটি বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
এর আগে, শামসুজ্জামান দুদু বিএনপির পক্ষ থেকে মওলানা ভাসানীর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন।
এ সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন উপদেষ্টা কবি আব্দুল হাই সিকদার, জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল প্রমুখ নেতারা।