একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে গুলিতে মো. শাহজাহান মিয়া নামের এক ধানকাটা শ্রমিক আহত হয়েছেন। আহত শাহজাহানকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ মে) সকালে উপজেলার দিঘলকান্দি ইউনিয়নের কাগমারি বৈলতৈল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহত শাহজাহান কুরমুশি গ্রামের মৃত কোরবান আলীর ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, কাগমারি বৈলতৈল গ্রামের আব্দুল কাদেরের পৈত্রিক ২৫ শতাংশ জমি কেনেন আব্দুল কাদেরের বন্ধু হাসেম আলী। কিন্তু জমির দলিল না করায় জমির মালিকানা দাবি করেন আব্দুল কাদেরের ভাই ইঞ্জিনিয়ার সোহরাব। হাসেম আলী মারা গেলে ওই জমি দীর্ঘদিন ধরে চাষাবাদ করছিলেন তার স্ত্রী মাজেদা বেগম। মঙ্গলবার সকালে মাজেদা বেগম ৮জন শ্রমিক নিয়ে ওই জমিতে ধান কাটতে যান। এ সময় সোহরাব তার কাছে থাকা একনালা বন্দুক (এসবিবিএল) দিয়ে শ্রমিকদের লক্ষ্য করে গুলি চালান। এতে ধান কাটা শ্রমিক শাহজাহান ডান হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
গুলিবিদ্ধ শাহজাহান জানান, তিনিসহ ৮ জন শ্রমিক আট হাজার টাকা চুক্তিতে সকালে ধান কাটতে যান। ধান কাটা শেষের দিকে সোরহাব তিনটি গুলি করলে দুটি গুলি তার শরীরে লাগে। এ ঘটনায় তিনি অভিযুক্ত সোরহাবের শাস্তি দাবি করেন।
মাজেদা বেগম জানান, সোহরাবের ভাই আব্দুল কাদেরের কাছ থেকে প্রায় ৪০ বছর আগে জমি কিনে চাষাবাদ করছিলেন তারা। কিন্তু জমির এখনো দলিল হয়নি। যার কাছ থেকে জমি কিনেছি তিনি মারা যাওয়ায় তার ভাই জমি দলিল করে দিচ্ছে না। জমিতে রোপনকৃত ধান কাটতে ৮জন শ্রমিককে চুক্তি দিয়েছিলাম। কিন্তু সোহরাব বন্দুক দিয়ে শ্রমিকদের গুলি করেন। তিনবার গুলির শব্দ পাই।
ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম সরকার জানান, ‘সোহরাব তার লাইসেন্স করা শর্টগান দিয়ে গুলি চালান। এতে একজন শ্রমিক আহত হয়েছেন। তদন্ত করে এই ঘটনার আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল শহরের আশেকপুর এলাকায় বহুতল ভবণ নির্মাণের জন্য পাইলিংয়ের কাজ করার সময় মাটিচাপা পড়ে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।মঙ্গলবার (১০ মে) দুপুরে আশেকপুর এলাকার মো. নজরুলের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শ্রমিকরা হলেন, বাসাইল উপজেলার কাশিল গ্রামের ঝটু পালের ছেলে আনন্দ পাল (৫৫) ও আন্নাত পালের ছেলে নিধন পাল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে পাঁচজন শ্রমিক নজরুলের বাড়ির নির্মাণাধীন নতুন ভবনের পিলার নির্মাণের জন্য মাটি খুঁড়ছিলেন। এদের মধ্যে আনন্দ এবং নিধন মাটি খুড়তে খুড়তে অনেক গভীরে চলে যান। এক পর্যায়ে নরম মাটি তাদের ওপর ভেঙে পড়ে। পরে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ভেকু দিয়ে মাটি সরিয়ে ওই দুই শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করে।
টাঙ্গাইল ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক রেজাউল করিম জানান, নির্মাণাধীন ভবনের পাইলিংয়ের কাজ করার সময় মাটি চাপা পরে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।। লাশ দুইটি উদ্ধারের পর পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
টাঙ্গাইল সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক শামীম জানান, আইনী প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।