একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের সখীপুরে বিয়ে না করেই স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বাসাভাড়া নিয়ে ৮ মাস ঘর সংসার করার অভিযোগ ওঠেছে রাবিব নামের এক কলেজ ছাত্রের বিরুদ্ধে। বিয়ের দাবিতে গত দুইদিন ধরে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছেন এক কলেজ ছাত্রী (১৯)।
পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড কাহার্তা রামখা পাড়া কটাবাড়িতে ওই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনার পর থেকে প্রেমিক জাকারিয়া ইসলাম রাব্বী লাপাত্তা।রাব্বী ওই গ্রামের প্রবাসী লুৎফর রহমানের ছেলে এবং সরকারি মুজিব কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী।
সোমবার(১৫ নভেম্বর) বিকেলে সরেজমিন দেখা যায়, রাব্বিদের বাড়ির প্রতিটি ঘরের দরজা বন্ধ করে ভেতরে অবস্থান করছেন বাড়ির অন্য সদস্যরা। আর বাইরে এক কাপড়ে বসে অনশন করছেন ওই কলেজছাত্রী। স্থানীয়রা তাকে দেখতে ভিড় করছেন। খাবার দেয়া হয়েছে কী না জানতে চাইলে মেয়েটি কান্নায় ভেঙে পড়েন। জানান ঘরে ঢুকার চেষ্টা করলে তাকে লাথি মেরে ফেলে দিয়ে দরজা বন্ধ করে দেন রাব্বির পরিবারের লোকজন। বিয়ে না করা হলে তিনি এ বাড়িতেই আত্মহত্যা করবেন বলে জানান।
জানা যায়, প্রায় দেড় বছর আগে রাব্বির এক বন্ধুর মাধ্যমে মুঠোফোনে প্রথম পরিচয় হয় আবাসিক মহিলা অর্নাস কলেজ পড়–য়া ওই ছাত্রীর সঙ্গে। এক পর্যায়ে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে পৌরসভার উত্তরা মোড় আবদুস সালামের বাসা এবং ক্যাপ্টেনমোড় ঐশিদের বাসা ভাড়া নিয়ে ৮ মাস স্বামী-স্ত্রী হিসেবে ঘর সংসার করেন তারা। বার বার বিয়ের চাপ দিলেও নানা তাল বাহান শুরু করেন রাবিব। নিরুপায় হয়ে রবিবার(১৪ নভেম্বর) থেকে বিয়ের দাবিতে অনশন করছেন ওই কলেজছাত্রী।
এ ব্যাপারে রাব্বির দাদা আবদুর রহমান বলেন, নাতি অন্যায় করেছে মাতাব্বররা যে ব্যবস্থা নেবেন আমরা তা মেনে নেব।
ওই ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর খলিলুর রহমান বলেন, গত রাতে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য উভয় পক্ষকে নিয়ে বসা হয়। পরে ছেলে পক্ষের অনিহার কারণে নিষ্পত্তি সম্ভব হয়নি।স্থানীয় কাউন্সিলর ফজলুর রহমান বলেন,স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করা হচ্ছে।
সুষ্ঠু ব্যবস্থা না হলে আইনের আশ্রয় নেবেন বলে জানান ওই কলেজ ছাত্রীর বাবা লেবু মিয়া।
সখীপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একে সাইদুল হক ভূইয়া বলেন, এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার ১নং দেউলাবাড়ি ইউনিয়নের পাকুটিয়া বটতলী নামক স্থানে সড়ক দূর্ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছেন। ওই ঘটনায় মারাত্মক আহত হয়েছেন আরও দুইজন। রবিবার (১৪ নভেম্বর) গভীর রাতে ওই দুর্ঘটনা ঘটে।সোমবার (১৫ নভেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম সরকার।
এ ঘটনায় নিহতরা হলেন রক্তিপাড়া নয়াবাড়ি গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে সাইদুর রহমান (৪৫) এবং গাংগাইর পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত মোকছেদ আলীর মেয়ে নাছিমা বেগম (৪৫)।
মারাত্মক আহত দুইজন হলেন গাংগাইর বেকারকোনা গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে ভ্যান চালক আব্দুল মালেক (৩০) এবং গাংগাইর পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত আমান আলীর ছেলে মোঃ রুবেল মিয়া (৩৫)।
স্থানীয়রা জানায়, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ধনবাড়িগামী বিনিময় পরিবহনের দুটিবাস নিয়ন্ত্রনহীন গতিতে যাচ্ছিল। গাড়ি দুটি পাকুটিয়া বাজার সংলগ্ন বটতলীতে পৌছালে একটি যাত্রীবাহী বাস ব্যাটারিচালিত অটো ভ্যানকে চাপা দেয়। এসময় ভ্যানের যাত্রীরা রাস্তার পাশে পড়ে গেলে হাত, পা ও শরীরের উপর দিয়েই গাড়িটি চালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই দুইজনের মৃত্যু হয়।
আহতদের স্বজনরা জানান, নিহতদের এক আত্মীয় মধুপুর ইব্রাহীমের দোকান থেকে ২৭ লাখ দশ হাজার টাকা চুরি হয়। ওই টাকা উদ্ধারের উপায় খুঁজতে ঘাটাইল উপজেলার কোন এক কবিরাজের কাছে যায়। সেখান থেকে গভীর রাতে অটোভ্যান যোগে বাড়ি ফেরার পথে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় আহত ভ্যানচালক মালেক মিয়াকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও রুবেল মিয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। দু’জনের মধ্যে ভ্যানচালক আব্দুল মালেকের দুটি পা শরীর থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে এবং রুবেলের একটি হাত শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শিরা।
এ বিষয়ে ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম সরকার বলেন, সংবাদ পেয়ে আহতদের হাসপাতালে পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়। দূর্ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছে । দুর্ঘটনা কবলিত বাসটি আটকের চেষ্টা চলছে।