একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ঘারিন্দা ইউনিয়নে সাবেক স্ত্রীর সঙ্গে শেষ রাতে গোপনে দেখা করতে গিয়ে ধরা পড়েন মো. উজ্জল হোসেন নামে এক যুবলীগ নেতা।শুক্রবার (২১ অক্টোবর) সকালে ইউনিয়নের সারুটিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পরে তাকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে মেয়েটির পরিবারের বিরুদ্ধে।এদিকে নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, এক ব্যক্তি উজ্জল হোসেনকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করছেন। এই ডিভিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অল্প সময়ের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়।
নির্যাতনের শিকার উজ্জল হোসেন ঘারিন্দা ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সহ-সভাপতি।
ভুক্তভোগী উজ্জল হোসেন জানান, ‘সকালে রাস্তা দিয়ে হাঁটছিলাম। এসময় আমাকে ধরে নিয়ে যান সাবেক শ্বশুর, চাচা শ্বশুরসহ চারজন।পরে তারা আমাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করছেন। মারধরের কারণে আমার বাম হাত ভেঙে গেছে। আমি বর্তমানে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছি।’
এ বিষয়ে উজ্জল হোসেনের সাবেক স্ত্রী জানান, সকালে ফজরের নামাজের পর বাড়ির পাশে হৈ চৈ শুনতে পাই। পরে জানতে পারি উজ্জল হোসেনকে কে বা কারা মারধর করেছে। তাকে মারধরের বিষয়ে আমরা কিছুই জানি না।
স্থানীয় ইউপি সদস্য লুৎফর হোসেন জানান, ছয় মাস আগে সাটুরিয়া গ্রামের এক মেয়ের সঙ্গে উজ্জল হোসেনের বিয়ে হয়। আড়াই মাস আগে তাদের বিচ্ছেদ হয়। সম্প্রতি উজ্জল ওই মেয়ের সঙ্গে আবারো যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন। বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) শেষ রাতে মেয়েটির সঙ্গে উজ্জল হোসেন দেখা করতে যান। মেয়েটির বাড়ির লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে উজ্জলকে আটক করে।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আবু সাইম তালুকদার বিপ্লব জানান, ‘বিষয়টি জানার পর উজ্জল হোসেনকে যুবলীগের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু ছালাম মিয়া জানান, ভিডিওটি দেখার পর এক কর্মকর্তাকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।