একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের সখীপুরে মেয়েদেরকে উত্যক্তের প্রতিবাদ করতে গিয়ে হামলার শিকার এক যুবকের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত প্রায় ১ টার দিকে রাজধানীর নিউরো সাইন্স হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
নিহত যুবকের নাম মো. মাজহারুল ইসলাম(২১)। সে উপজেলার কালিয়ান দক্ষিণ পাড়া এলাকার আ. মালেক মিয়ার ছেলে এবং সরকারি সা’দত কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিল।
হামলার ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে শনিবার ( ১০ সেপ্টেম্বর) ৭ জনের নাম উল্লেখ করে সখীপুর থানায় একটি মামলায় দায়ের করেছেন।
নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার কালিয়ান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে শুক্রবার(৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এলাকার বিবাহিত বনাম অবিবাহিতদের সমন্বয়ে এক ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলা দেখতে আসা মেয়েদের নানাভাবে উত্যক্ত করে কালিয়ান দোহানিয়া পাড়ার কয়েকজন বখাটে ছেলে। এ সময় মাজহারুল তাদের উত্যক্ত করতে নিষেধ করলে ঘটনাস্থলেই তাকে কিল, ঘুষি দেয় স্থানীয় বখাটে ইয়ারুল ও তার সহযোগীরা।
এর পর খেলা শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে ইয়ারুল ইসলাম (১৯), ছাব্বির আহমেদ (১৯) সহ সাত-আট জনের একটি সঙ্ঘবদ্ধ দল লোহার রড, দা, দিয়ে মাজহারুলের উপর আবার আক্রমণ করে। এ সময় চিৎকার শুনে তার বাবা ও অন্যান্যরা মাজহারুলকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে সখীপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার নিউরো সাইন্স হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে তিন দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর সোমবার রাত প্রায় ১ টায় মাজহারুলের মৃত্যু হয়।
মাজহারুলের বাবা আ. মালেক কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘অনেক চেষ্টা করেও আমার ছেলেটাকে বাঁচাতে পারলাম না। বখাটেদের হামলায় ছেলেটা অবশেষে মারাই গেল।
এ প্রসঙ্গে সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রেজাউল করিম জানান,হামলার ঘটনায় মাজহারুলের বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। ওই মামলাতেই ৩০২ ধারা যুক্ত করার জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।