একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার শুভকি এলাকায় স্ত্রীর সঙ্গে আপন ভাতিজার পরকীয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তার প্রবাসী স্বামী চরম বেকায়দায় পড়েছেন।
উপজেলার শুভকী এলাকার রফিকুল ইসলাম। পরিবারের অভাব-অনটন আর ভাগ্য বদলের আশায় দীর্ঘ ১২ বছর আগে পাড়ি জমান প্রবাসে। তিনি দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকার কারণে পরিবারের আর্থিক সচ্ছলতা ফিরে আসলেও বৈবাহিক জীবনে নেমে আসে কালো মেঘ। আপন ভাতিজার বিরুদ্ধে তার পরিবারের সুখ কেড়ে নেয়ার অভিযোগ করেছেন প্রবাসী রফিকুল ইসলাম।
রফিকুল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ তিনি প্রবাসে থাকার সুযোগে আপন ভাতিজা মাজিদুর রহমান তার স্ত্রীকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করত। এক পর্যায়ে সেই উত্ত্যক্ত পরকীয়ায় রূপ নেয়। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে শুরু হয় পারিবারিক দ্বন্দ্ব। রফিকুল ইসলাম বারবার তার শ্বশুর বাড়ির লোকজনদের এ বিষয়ে জানালেও এ নিয়ে কোনো লাভ হয়নি। এরই মধ্যে তাদের পরকীয়া সম্পর্ক আরও গভীর হতে থাকে। এক পর্যায়ে তার স্ত্রী গর্ভবতী হওয়ার সংবাদ পায় রফিকুল। এটি বুঝতে পেরে তার স্ত্রী অ্যাবরশন (গর্ভপাত) করিয়ে ফেলেন। পরে কৌশলে ভাতিজার মোবাইল থেকে ভাতিজা ও তার স্ত্রীর অনৈতিক সম্পর্কের বেশ কিছু ছবি ও অডিও রেকর্ড সংগ্রহ করে।
এরপর রফিকুল লোকলজ্জার ভয়ে কাউকে কিছু না বলে তার স্ত্রীকে দিয়ে ভাতিজার বিরুদ্ধে একটি ইভটিজিংয়ের মামলা করান। সেই মামলায় ভাতিজা বেশ কিছুদিন কারাভোগ করেন। তারপরও থেমে নেই তাদের পরকীয়া সম্পর্ক।
এদিকে আপন ভাতিজার সাথে পরকীয়ার কারণে পরিবারের অন্য সদস্যরা ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে রফিকুল এ ঘটনার পর থেকেই তার স্ত্রীকে তালাক দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও প্রবাসে থাকার কারণে সেটি সম্ভব হচ্ছে না।
এদিকে চাচি-ভাতিজার পরকীয়া সম্পর্ক নিয়ে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। চলছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। রফিকুলের পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ কোনো কথা বলার সাহস পাচ্ছে না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক এলাকাবাসী জানান, রফিকুলের স্ত্রীর সাথে ভাতিজা মাজিদুরের পরকীয়ার সম্পর্ক রয়েছে এটি তিনি শুনেছেন। মাজিদুর তার চাচিকে ইভটিজিং করার দায়ে জেলও খেটেছেন। পরিবারটি প্রভাবশালী হওয়ায় এ বিষয় নিয়ে কেউ কোনো কথা বলেনি।
রফিকুলের বড় ভাই আবু সাইম জানান, ভাতিজা মাজিদুরের বিরুদ্ধে রফিকুলের স্ত্রী একটি ইভটিজিং মামলা করেছিল। সেই মামলায় কয়েকদিন কারাভোগ করেছে। এরপর থেকেই রফিকুল চাইছে তার স্ত্রীকে তালাক দিতে। কিন্তু তিনি এবং পরিবারের সদস্যরা তাকে জানিয়েছেন রফিকুল যদি তার স্ত্রীকে তালাক বা অন্য কাউকে বিয়ে করার ইচ্ছে থাকে তাহলে দেশে এসে পারিবারিক ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে এর সমাধান করতে হবে। রফিকুল আসার পরই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রফিকুলের স্ত্রী কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
সংবাদ সূত্র – সময় টিভি অনলাইন