টাঙ্গাইলে পানি কমলেও, বাড়ছে ভোগান্তি


টাঙ্গাইলে পানি কমলেও, বাড়ছে ভোগান্তি - Ekotar Kantho

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে যমুনাসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি কমলেও দুর্ভোগ বেড়েছে বানভাসি মানুষের। জেলার বেশ কয়েকটি উপজেলার শতাধিক গ্রামের বাসিন্দা এখনো পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন।

শুক্রবার (২৪ জুন) পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, যমুনা নদীর পানি পোড়াবাড়ী পয়েন্টে ১৫ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার উপরে, ঝিনাই নদীর পানি জোকারচর পয়েন্টে ১২ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৪৭ সেন্টিমিটার উপরে এবং ধলেশ্বরী নদীর পানি এলাসিন পয়েন্টে ২ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৩১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সরেজমিন সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়নের ছিটকিবাড়ী, চাকতা, ফৈলারঘোণা ও মগড়া ইউনিয়নের কান্দাপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, সড়কে হাঁটু থেকে কোমর সমান পানি রয়েছে। ফলে এসব গ্রামের মানুষজন নৌকা দিয়ে যাতায়াত করছেন। যার নৌকা নেই তারা শরীরের পোশাক ভিজিয়ে পানি দিয়ে চলাচল করছেন। এসব এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির তীব্র সঙ্কট।

ফৈলারঘোনা গ্রামের হারেজ মিয়া বলেন, ‘পনিবন্দি অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করছি। শুনেছি নদীর পানি কমেছে। তবে আমাদের গ্রামের পানি না কমায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিশুদ্ধ পানি নেই বললেই চলে।’

সুজন রহমান নামে এক যুবক বলেন, ‘নৌকা ছাড়া চলাচল করা যায় না। বাড়িতে শিশুদের নিয়ে সব সময় দুশ্চিন্তা হয়। এই গ্রামে এখন পর্যন্ত কেউ সরকারি সহায়তা পায়নি।’

ছিটকিবাড়ী গ্রামে খোরশেদ আলম বলেন, ‘অনেকের ঘরে পানি উঠেছে। তারা উঁচু জায়গায় অথবা আত্মীয়দের বাড়িতে অবস্থান করছেন। গ্রামের অনেকেই পানি বাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।’

বাঘিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম মতিয়ার রহমান মন্টু বলেন, ‘ইউনিয়নের ৪০ হাজার মানুষের মধ্যে ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন। এখন পর্যন্ত কোনো সরকারি সহায়তা পাইনি।’

জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সূত্রে জানা যায়, ‘বন্যায় জেলার ৪৯ হাজার ৪১৭টি পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। বন্যাদুর্গতদের জন্য ৩৩৭ মেট্রিক টন চাল মজুদ রয়েছে।’

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘বিভিন্ন নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। ফলে বিভিন্ন এলাকায় নদীভাঙন দেখা দিয়েছে। যেসব জায়গায় জরুরিভাবে কাজ করা প্রয়োজন সেখানেই করা হচ্ছে।’


খবরটি শেয়ার করুন

কপিরাইট © ২০২২ একতার কণ্ঠ এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।