একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে খাদিজা আক্তার (২২) নামের এক প্রবাসীর স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
রোববার (২৯ মে) সকালে উপজেলার কোকডহরা ইউনিয়নের কুটুরিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত খাদিজার ২ বছরের এক ছেলে সন্তান রয়েছে।
জানা যায়, কোকডহরা ইউনিয়নের কুটুরিয়া গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে সৌদি প্রবাসী আবু হানিফের সাথে প্রায় ৪ বছর পূর্বে পার্শ্ববর্তী বলধী গ্রামের আব্দুল খালেকের মেয়ে খাদিজার বিয়ে হয়। তার স্বামী আবু হানিফ দেশে ছুটি কাটিয়ে দু’মাস পূর্বে পুনরায় সৌদী চলে যান। তারপর থেকেই শশুর-শাশুড়ী খাদিজাকে বিভিন্নভাবে অত্যাচার করে আসছিল বলে অভিযোগ করেছেন নিহতের পরিবার। গত দু’দিন আগে শাশুড়ি ও খাদিজার সাথে শাশুড়ীর স্বর্ণের চেইন হারানো নিয়ে নিয়ে ঝগড়া হয়। পরে রোববার সকালে স্টোক করেছে বলে খাদিজাকে হাসপাতালে নিয়ে যায় তার শশুর-শাশুড়ী। এসময় চিকিৎসক মৃত খাদিজার গলায় চিহ্ন দেখে শাশুড়ি হালিমনকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন ফাঁসি দিয়েছে।
নিহত খাদিজার ভাই শফিকুল ইসলাম বলেন, খাদিজাকে হত্যা করে কালিহাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গিয়ে তার শাশুড়ি হালিমন আমাদের জানায় সে অসুস্থ্য। পরে জানতে পারি পুলিশ খাদিজার লাশ থানায় নিয়ে গেছে।
খাদিজার বাবা খালেক বলেন, আমার মেয়ে খাদিজাকে তার শশুর-শাশুড়ী হত্যা করে আত্মহত্যা বলে প্রচার চালাচ্ছে। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ করেছি। আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই।
অন্যদিকে, শাশুড়ী হালিমনের দাবী গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে খাদিজা। তাকে বাঁচাতে ফাঁস থেকে নামিয়ে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার ফাতেমা জানান, রাতের শিফটের ডাক্তার সকালেও ডিউটি করেছেন। খাদিজা নামে এক গৃহবধুকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। ওটা ব্রড ডেড, হ্যাংগিং কেস চিহ্ন পাওয়া গেছে। পুলিশ এসে লাশ নিয়ে গেছে। পোস্টমর্টেমের পর মূল বিষয় জানা যাবে।
এ বিষয়ে কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে সংবাদ পাওয়ার পর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।