একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলায় নিখোঁজের একদিন পর পুকুর থেকে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (১৭ জুন) রাতে উপজেলার কালিয়ানপাড়া তেঁতুলিয়াচালা এলাকায় বাড়ির পাশে পুকুর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত গৃহবধূর নাম বিউটি আক্তার (৪০)। তিনি একই গ্রামের মিজানুর রহমানের স্ত্রী।
নিহত গৃহবধূর ভাইয়ের দাবি, তাঁর বোনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশ পুকুরে ফেলা হয়েছে।
নিহত গৃহবধূর বড় ভাই মাসুদ করিম দাবি করেন, ‘আমার বোনকে তার স্বামী বছরখানেক আগেও বেদম মারপিট করেছিল। ওই সময় বোনকে হাসপাতালে ভর্তি করেছিলাম। আমার ধারণা, বোনকে তারা পরিকল্পিতভাবে মেরে লাশ গুম করার জন্য পুকুরে ফেলে।’
নিহতের স্বজন, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার (১৬ জুন) সকালে গৃহবধূ বিউটি আক্তার বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন। ওই দিন বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে কোথাও তাঁর কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। সোমবার সন্ধ্যার দিকে কালিয়ানপাড়া তেঁতুলিয়াচালা এলাকায় বাড়ির পাশে পুকুরে মরদেহ ভেসে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয় লোকজন। রাতে পুলিশ এসে গৃহবধূ বিউটির লাশ উদ্ধার করে। মঙ্গলবার (১৮ জুন) সকালে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহত গৃহবধূর স্বামী মিজানুর রহমানের দাবি, তাঁর স্ত্রী বিউটি আক্তার মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। নিখোঁজের পর সোমবার সন্ধ্যায় বাড়ির পাশের পুকুরে ভাসমান অবস্থায় তাঁর স্ত্রীর মরদেহ পাওয়া গেছে। তাঁদের দুই মেয়ে আছে।
সখীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) প্রভাষ কুমার বসু বলেন, এ ঘটনায় অপমৃত্যুর (ইউডি) মামলা হয়েছে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মঙ্গলবার সকালে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার আগে এটা হত্যা না অপমৃত্যু, তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।