টাঙ্গাইলে বর্ণাঢ্য আয়োজনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত


০৮:১৬ পিএম, ২৬ মার্চ ২০২৪
টাঙ্গাইলে বর্ণাঢ্য আয়োজনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত - Ekotar Kantho

একতার কণ্ঠঃ ৩১ বার তোপধ্বনি, পুষ্পস্তবক অর্পন, শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া, জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংঙ্গীত পরিবেশনসহ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসনের আয়োজনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে।

২৬ মার্চ (মঙ্গলবার) সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে শহিদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভ চত্বরে ৩১ বার তোপধ্বনি ও শহিদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

রাষ্ট্রের পক্ষে প্রথমে শহিদদের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম। এরপর জেলা পুলিশের পক্ষে পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, জেলা পরিষদের পক্ষে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খোন্দকার ফরহাদ আহমেদ, পৌরসভার পক্ষে মেয়র এসএম সিরাজুল হক আলমগীর, স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষে সিভিল সার্জন ডা. মো. মিনহাজ উদ্দিন মিয়া, উপজেলা পরিষদের পক্ষে চেয়ারম্যান শাহজাহান আনছারী, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের পক্ষে এডভোকেট জাফর আহমেদসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তর ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হয়।


এরপর শহরের শহিদ স্মৃতি পৌরউদ্যানে পুষ্পস্তবক অর্পন ও শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। সকাল সাড়ে ৮ টায় টাঙ্গাইল জেলা স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে সমাবেশ, আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংঙ্গীত পরিবেশিত হয়। এছাড়াও বাংলাদেশ পুলিশ, আনসার ও ভিডিপি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এবং বিএনসিসি সমন্বয়ে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়।

সকাল ১০ টায় শহিদ স্মৃতি পৌরউদ্যানে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মো. ছানোয়ার হোসেন, পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খন্দকার আশরাফউজ্জামান স্মৃতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার জহিরুল হক ডিপটি, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট জাফর আহমেদ প্রমুখ।

এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাসান বিন মোহাম্মদ আলী।

দিবসটি উপলক্ষে বাদ যোহর ও সুবিধাজনক সময়ে জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে মসজিদ, মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে মোনাজাত ও প্রার্থনা করা হয়। এছাড়া হাসপাতাল, জেলখানা, সরকারি শিশু পরিবার, ভবঘুরে প্রতিষ্ঠান ও শিশু দিবা যত্ম কেন্দ্র সমূহে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়।


খবরটি শেয়ার করুন

কপিরাইট © ২০২২ একতার কণ্ঠ এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।