একতার কণ্ঠঃ হেভিওয়েট প্রার্থীতে সরব হয়ে উঠেছে টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসন। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার য়ার শেষদিন (৩০ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহাদাত হুসেইনের কার্যালয়ে দেখা গেছে এ আসনের সকল হেভিওয়েট প্রার্থীদের। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে সমর্থকসহ মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তারা। এর মধ্যে আকর্ষণ হয়ে উঠেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার সারওয়ার সিরাজ (শুক্লা)।
তিনি স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠক, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আর বিএনপি’র সাবেক বন ও পরিবেশ মন্ত্রী মরহুম শাহজাহান সিরাজের মেয়ে। ব্যারিস্টার সারওয়ার সিরাজ (শুক্লা) গুলশান সোসাইটি ঢাকার মহাসচিব। তিনি সুপ্রীম কোর্টে আইন পেশায় নিয়োজিত।
হভিওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে দুপুরে মনোনয়নপত্র জমা দেন এ আসনের আওয়ামীলীগের মনোনিত প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাত বারের সভাপতি মোজহারুল ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু, এরপরে কৃষক শ্রমিক জনতালীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, সরকারি সাদত কলেজের সাবেক ভিপি তার ছোট ভাই শামীম আল মনসুর আজাদ সিদ্দিকী, লতিফ সিদ্দিকীর সহধর্মিণী ও সাবেক এমপি লায়লা সিদ্দিকী আর সমর্থকদের নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা দেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের বহিষ্কৃত প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, একই আসনের অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী সিদ্দিকী পরিবারের আরও এক আলোচিত রাজনীতিবিদ ও সাবেক ছাত্র নেতা মুরাদ সিদ্দিকী। তিনি টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) ও টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
এছাড়াও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তৃণমূল বিএনপি’র প্রার্থী শহিদুল ইসলাম, সুপ্রিম পার্টি (ন্যাপ) শুকুর মাহমুদ, জাসদ প্রার্থী এস.এম মোস্তফা, জাতীয় পার্টি (জেপি) সাদেক সিদ্দিকী। এর আগে ২৯ নভেম্বর মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জাতীয় পার্টি (এরশাদ) ইঞ্জিনিয়ার লিয়াকত আলী আর জাকের পার্টির প্রার্থী মোনতাজ আলী।
মনোনয়নপত্র জমা শেষে ব্যারিস্টার সারওয়ার সিরাজ (শুক্লা) বলেন, আমি কোন রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত না। আমি সমাজ সেবা আর বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী হিসেবে কাজ করি। কালিহাতীর মানুষের সাথে আমার নাড়ীর সম্পর্ক। মানুষের চাহিদা ও স্থানীয় বাস্তবতা থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত আমি ২৩ নভেম্বর নিয়েছি এবং মনোনয়নপত্র ক্রয় করেছি।
তিনি আরও বলেন, আমি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। জন্মের পর থেকেই নানা ধরণের চাপ নিয়ে বড় হয়েছি। বিজয় নিয়ে আমি শতভাগ আশাবাদি। তারণ্যের প্রতীক হিসেবে তিনি নতুন প্রজন্ম, দল মত নির্বিশেষে সকল নর-নারীর ভোট প্রার্থণা করেছেন।