টাঙ্গাইলে অপহরণের ২ দিন পর ঝোপে মিলল শিশু সামিয়ার লাশ


০৮:১৯ পিএম, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩
টাঙ্গাইলে অপহরণের ২ দিন পর ঝোপে মিলল শিশু সামিয়ার লাশ - Ekotar Kantho
শিশু সামিয়া আক্তার

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের সখীপুরে অপহরণের দুই দিন পর সামিয়া আক্তারের (৯) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার দাড়িয়াপুর উত্তরপাড়ায় শিশুটির বাড়ির কাছের একটি ঝোপ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। শিশুটির চাচা আমিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে সামিয়াকে অপহরণের পর অডিও বার্তায় ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছিল।

শিশু সামিয়া উপজেলার দাড়িয়াপুর গ্রামের উত্তরপাড়া এলাকার রঞ্জু মিয়া ও রুপা বেগম দম্পতির মেয়ে। সে স্থানীয় মাঝিরচালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

20230826-141431

অপহৃত সামিয়ার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার সকাল ৮টার দিকে সামিয়া বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে এক শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়তে যায়। পড়া শেষে সহপাঠীদের সঙ্গে বাড়ি ফিরছিল সে। পথে একটি দোকানে সহপাঠীরা কিছু কিনতে দাঁড়ালে সামিয়া একাই বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়।

এদিকে সামিয়ার বাড়ি ফিরতে দেরি হচ্ছে দেখে তার মা রুপা বেগম ওই শিক্ষককে ফোন দিয়ে জানতে পারেন পড়া শেষে অনেক আগেই সে বেরিয়ে গেছে। পরে রুপা বেগম মেয়েকে খুঁজতে বের হলে বাড়ির কাছাকাছি এক স্থানে তার ব্যবহৃত জুতা পড়ে থাকতে দেখেন। কিছুক্ষণ পর তাঁর মোবাইল ফোনের ইমোতে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে একটি অডিও বার্তা আসে। বিষয়টি পুলিশকে জানালে মেয়েকে মেরে ফেলা হবে বলে অডিও বার্তায় হুমকি দেওয়া হয়। সামিয়ার বাবা রঞ্জু মিয়া বিষয়টি থানায় জানালে পুলিশের একাধিক ইউনিট সামিয়াকে উদ্ধারকাজে নামে।

শুক্রবার দুপুর ১২টায় সামিয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তার বাবা রঞ্জু মিয়া মোবাইল ফোনে জানান, থানায় মামলা করেছি। পুলিশ নানাভাবে আমার মেয়েকে উদ্ধারের চেষ্টা করছে। বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে অপহরণকারীরা তাঁর মেয়েকে মেরে ফেলবে সংশয় প্রকাশ করে তিনি এ বিষয়ে সংবাদ না করার অনুরোধ করেন।

কিন্তু বেলা ১টার দিকে সামিয়ার চাচা আমিনুল ইসলাম মোবাইল ফোনে জানান, সামিয়ার লাশ পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. শরফুদ্দীন ও সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম জানান, মেয়েটিকে জীবিত উদ্ধারে পুলিশ সর্বাত্মক চেষ্টা করেছে। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। অপরাধী যে-ই হোক, তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।


পাঠকের মতামত

-মন্তব্য সমূহ পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

নিউজটি শেয়ার করুন

কপিরাইট © ২০২২ একতার কণ্ঠ এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।