ঘাটাইলে ওসি’র কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী


০৬:১৩ পিএম, ১৯ এপ্রিল ২০২৩
ঘাটাইলে ওসি’র কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী - Ekotar Kantho

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ঘাটাইলের ওসি’র স্বেচ্ছাচারিতা, পক্ষপাতিত্ব ও হয়রানিমূলক কর্মকাণ্ডে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন। তার কর্মকাণ্ডে বিক্ষুব্ধ হয়ে উপজেলার দক্ষিণ ধলাপাড়ায় সম্প্রতি মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। এই স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদ করলে তাদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হয় এমন অভিযোগ স্থানীয়দের।

জানা যায়, ধলাপাড়া গ্রামের মৃত মহসিন মিয়ার ছেলে রেমিটেন্স যোদ্ধা আরিফকে মামলা দিয়ে হয়রানি ও বিভিন্ন কৌশলে তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করলে বুঝতে পেরে তিনি কাউকে না জানিয়ে দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে প্রবাসীর স্ত্রী ও স্থানীয়রা ঘাটাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেন। মানবন্ধনের খবর বিভিন্ন বিভিন্ন জাতীয়, স্থানীয় দৈনিক পত্রিকা ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত হওয়ায় ইমেজ সংকটে পড়েন তিনি। ঘটনা ধামাচাপা দিতে তিনি অভিযোগকারীর সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ না করে তার অনুগত ও আরিফের চাচাতো ভাই আব্দুল বাছেদ সরকারকে দ্বিতীয় পক্ষ সাজিয়ে একটি আপোষ-মিমাংসার দালিলিক প্রমাণ তৈরি করেন।

আরিফের চাচাতো ভাই ও ধলাপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বাছেদ সরকার বলেন, ঘাটাইল থানার ওসি, পরিদর্শক (তদন্ত), ধলাপাড়া ফাড়ির ইনচার্জ, স্থানীয় চেয়ারম্যান ও গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিতে সালিশী বৈঠক করেছি। তবে, শালিসের বিষয়ে ভূক্তভোগী প্রবাসী আরিফের স্ত্রী শাহিদা আক্তার কিছু জানেন না।


গত ১৬ মার্চ সাগরদিঘী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতিকের পক্ষে নির্বাচন করায় সাগরদিঘী শোলাকুড়া গ্রামের আকবর হোসেনের ছেলে জাকির হোসেন জানান, তিনি তার বাবাকে টাকা পাঠানোর জন্য বাজারে গেলে গত ২০ মার্চ বিকেলে প্রতিপক্ষের ৪-৬ জন জোড়পূর্বক তাকে ধরে নিয়ে বেধরক মারপিট করে। পরে সেলুনে নিয়ে তাকে ন্যাড়া করে দেয় এবং ওই ভিডিও ধারণ করে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে। এ ঘটনায় জাকির হোসেন বাদী হয়ে ঘাটাইল থানায় অভিযোগ করলে ওসি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। পরে বাধ্য হয়ে আদালতে মামলা করেন। তিনি ওসি’র এসব কর্মকাণ্ডের প্রতিকার ও তার অপসারণ দাবী করেন।

ভূক্তভোগী আরিফের স্ত্রী শাহিদা আক্তার বলেন, শালিসের বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। আমাকে বা আমার স্বামীকে কেউ কিছু জানায়নি।

শালিসী বৈঠকে উপস্থিতির বিষয়টি অস্বীকার করে ঘাটাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজহারুল ইসলাম বলেন, ধলাপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বাছেদ সরকারের সাথে দু’একদিনের মধ্যে আমার কোন যোগাযোগ হয়নি। তিনি মিথ্যা কথা বলে আমাকে হেয় করেছেন।

গোপালপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুনাজির ইসলাম চৌধুরী বলেন, ইতিপূর্বে প্রবাসীর স্ত্রীর মানববন্ধনের বিষয়টি শুনেছি। এ ঘটনায় শালিসী বৈঠকের ব্যাপারে আমি অবগত নই। ভূক্তভোগীর কাছ থেকে লিখিত কোন অভিযোগও পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রযোজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


খবরটি শেয়ার করুন

কপিরাইট © ২০২২ একতার কণ্ঠ এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।