একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে শ্বাশুড়ির সামনেই স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে স্বামী। রবিবার (৯ এপ্রিল) দিবাগত রাত দুইটার দিকে উপজেলার ডুবাইল ইউনিয়নের কুপাখী গ্রামে এই নৃশংস ঘটনাটি ঘটে।
নিহত ওই গৃহবধূর নাম সুমিতা (৩৮)। তিনি জেলার মির্জাপুর উপজেলার পাকুল্যা ইউনিয়নের পাকুল্যা গ্রামের মৃত সমেজ উদ্দিনের মেয়ে।
এ ঘটনায় নিহত সুমিতার স্বামী মিনজু মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে দেলদুয়ার থানা পুলিশ ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ২৫ বছর আগে সুমিতা’র সঙ্গে দেলদুয়ার উপজেলার ডুবাইল ইউনিয়নের কুপাখী গ্রামের মৃত আজগর মিয়ার ছেলে মিনজু মিয়ার পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে দুই ছেলে ও ১ মেয়ে রয়েছে।
সম্প্রতি মিনজু মিয়া শ্বশুড় বাড়ির ওয়ারিশ সম্পত্তি এনে দেওয়ার জন্য স্ত্রীকে চাপ দেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে মনোমালিণ্যের সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে কয়েকদিন আগে স্ত্রীকে মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন স্বামী মিনজু মিয়া।
পরে সুমিতা বোনের বাড়ি পাশের উপজেলা মির্জাপুরের মহেড়া গ্রামে আশ্রয় নেন। শনিবার(৮ এপ্রিল) কৌশলে ভগ্নীপতি আমির হোসেনের মাধ্যমে মোবাইলে স্ত্রীকে বাড়িতে আসতে বলে মিনজু। সরল বিশ্বাসে সুমিতা তার বোন ববিতা ও তার মা হালিমাকে সাথে নিয়ে শনিবার স্বামীর বাড়ি আসে।
রবিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে স্বামী মিনজু মিয়া গাছ কাটায় ব্যবহৃত রডের তৈরি ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি কোপাতে থাকে স্ত্রী সুমিতাকে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এসময় বাঁধা দিলে মা হালিমা ও বোন ববিতা আহত হন।
সুমিতার মা হালিমা বেগম জানান, মেয়েকে তার সামনেই কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তার মেয়ের চিৎকারে স্থানীয় কেউ এগিয়ে আসেনি। ওয়ারিশের সামান্য কিছু টাকার জন্য তাদের তিন জনকেই হত্যা করতে চেয়েছিল মিনজু মিয়া।
দেলদুয়ার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাছির উদ্দিন মৃধা জানান, এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘাতক স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।