একতার কণ্ঠঃ নানা আয়োজনে টাঙ্গাইলে মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর “ঐতিহাসিক কাগমারী” সম্মেলনের ৬৬ বছর উদযাপন করা হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শহরের ভিক্টোরিয়া রোডস্থ টাঙ্গাইল সাধারণ গ্রন্থাগার মিলনায়তনে মওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,মওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা কবি বুলবুল খান মাহবুব।
মওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান খন্দকার নাজিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব মাহমুদুল হক সানুর সঞ্চালনায় মূখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, প্রাবন্ধিক, কবি ও সমাজ বিশ্লেষক অধ্যাপক শংকর দাস, মওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা হারুন অর রশিদ, টাঙ্গাইল সাধারণ গ্রন্থাগারের সাধারণ সম্পাদক কবি মাহমুদ কামাল প্রমুখ।
সভায় ভাসানী ছাত্র, যুব ও সাংস্কৃতিক ফাউন্ডেশনের নেতৃবৃন্দসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ গ্রহণ করে । পরে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এছাড়া ঐতিহাসিক এই দিবসটি উপলক্ষে টাঙ্গাইলের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি পালন করে।
উল্লেখ্য,১৯৫৭ সালের ৬, ৭ ও ৮ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইলের কাগমারীতে মওলানা ভাসানী ৫৪টি তোরণের মধ্য দিয়ে ‘ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলন’ উদ্বোধন করেন। কাগমারী সম্মলনে পশ্চিম পাকিস্তানিদের ‘ওয়ালাইকুম আসসালাম’ বলে পূর্ব পাকিস্তানের (বাংলাদেশ) স্বায়ত্তশাসনের দাবি উত্থাপন করেন তিনি। সম্মেলনে মওলানা ভাসানী স্বায়ত্তশাসনের যে দাবি জানিয়েছিলেন তারই ধারাবাহিকতায় পরবর্তীতে স্বাধীনতার আন্দোলন দানা বাঁধে।
কাগমারী সম্মেলনেই মওলানা ভাসানী সর্বপ্রথম বিশ্ববাসীর মনে পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মানুষের স্বাধিকার আন্দোলন সম্পর্কে ধারণা দেন। কাগমারী সম্মেলনে মওলানা ভাসানীর দাবিকৃত স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনই পর্যায়ক্রমে স্বাধীনতা আন্দোলনে রূপ নেয় এবং স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।